আমিনুল ইসলামের কবিতা

শ্রীফল ও সুফল


১.
সমুদ্রের ঝাঁপি খোলা 
অথচ-
নাভিশ্বাস ভূমিঢাল; চক্রে জল

আর-  
শুকনো চোখে গ্লিসারিন

এই ভরা মিথুনমুদ্রায় সূর্য উঠেছে
তবু তো আঁকতে হয়  দেহের বিকার

মোমের শিখায় একরত্তি কামের সংলাপ

২.
কর্কট রাশি চুঁইয়ে আরক্ত ঠোঁট
হৃদয় বিশ্লেষণে ব্যস্ত
এমন সম্ভাব্যতা এড়িয়ে
ট্রেনটি প্লাটফর্ম ছাড়লো~

ব্যাকুল ফড়িং-এর ডানায় ক্যামেরা

মাথার উপর সূর্য বাড়িয়ে তুলছে ঘাম

৩.
সাপের খোলসে নকল ছোবল

স্ক্রল ডাউন করেছে ঝরনা

এইমাত্র প্রজাপতি ৩ নাম্বার রানওয়ে

থেকে টেকঅপ করল

জানালায় মৃদু হাসির পাখি
গভীর জলে সাজানো জালের অভিসন্দর্ভ
কেটে বেরিয়ে পড়ছে 

আঁশটে সময়ে
বুকে সেলাই হচ্ছিল কতো কতো
পুতুলের সংসার


৪.
রক্তের ফেনায় ধুতরা ফুল ~
সর্বজনীন মন্ত্রের মোহনায়
সজনে গাছ ও সুজন
একাত্ম একাকার

সৃজন বীজ এবং কিছু ককটেল
মিউটেশন এখনও ঘটমান; অতীত হয়ে যায়নি

৫.
শীতল ছোবলে নিহত ছবিটির
রক্তে বিষধর বিকার

বিনয় ও নম্রতার পরখে সাজানো সেল্ফ
কাম ও সরীসৃপের জ্বরে পারঙ্গম

পুড়তে পুড়তে সুতো ~

৬.
তুলসী-আয়নার কাছে মুখ রাখা~
আরব্যরজনীর প্রদীপ জেগেছে
আলাদিনের দরজা

মাথায় ভুতের আবেশ
দোলনায় রাখা বিষ ও মধুর দোলা

কানের পাশে বাঁশির সুদীর্ঘ লাইন

৭.
জমানো পুঁজি ও পুঁজরক্ত দেখেছেন
আমজনতা
ক্ষনকাল অতিক্রমে রক্তবমিও করবেন

মাদুলির ভেতর ভক্তি ভরপুর
চারিদিকে রোদের আয়োজন চলছে...

৮.
'ন্যাড়া বেলতলা একবার যায়'

প্রচলিত হাতের পাঁচটা আঙুল

আর সমান হতে যাবেই বা কেন!

তাছাড়া বেলতলা যাওয়া হল অধিকার
গণতন্ত্রে এটা কেড়ে নেওয়া যায় না

সুতরাং ন্যাড়াদের বেলতলা সেজে উঠেছে ...

৯.
তোরমুজ ছুরির উপর
না ছুরিটা তোরমুজের উপর~

ফুলের নীচে উনুনটির স্বপ্ন...


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন