অগ্নি রায়ের কবিতা

১.
সময়ের গল্প

একটা গল্পের নিচে ঠেস দেওয়া কোলবালিশ 
চর্তুবেদে একটা বটবৃক্ষ হাঁটছে সমান্তরালে 
দারুণ সময় মিলছে মিটিংয়ের অনলাইন 
চয়নিকা পাঠে ভ্রম কাটেনি এ তল্লাটে 
গোলাকার ব্যাসার্ধে একে একে ছেড়ে যায় পথচলা
পথিকের আগ্রহ বাড়ে রোদের সাথে পাল্লা টেনে
সমন্বয় আয়নায় প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে 
আরও বেগবান হয় জ্যোতিষী মহাশয় 
সমানুপাতিকহারে বাড়ে বৈষম্যের বালিয়াড়ি 
সূক্ষ্ণ বালিরেখা ত্বক জুড়ে
মেকাপে ঢাকে বোবাচোখ
রুগ্ন হাসপাতাল থার্মোমিটারে পারদ দেখে
সুনীল আকাশ হেসে বললেন 
আমাকে ছুঁয়ে দেখতে পারো এবার....
মৃত্যু অক্রুর হাসি হাসে চিরকাল।।


অশ্রুমুখী
.
সে এক তৈলাক্ত বেলা 
তেলাকুচার ফরমায়েশী আবাস
যূথিকা হলুদে নয় নীল শাড়িতে দণ্ডায়মান 
মনে হয় পথের রাজহাট রাজগঞ্জে মিলাবে
ঐতিহাসিক চরিত্রগুলো মুক্তার দানার মতো ঝলমলে 
মুক্তার হাসিটাও বেশ
মাঝখানে কন্যা হারানো পিতার কোর্টের প্লাটফর্ম 
ছুটছে সম্পর্ক আহ্নিক গতিতে
আহ্লাদী প্রশ্নে জরাসন্ধ বিভক্ত হয় ভীমবাহুবলে।
ক্ষুদ্র কে অক্ষুদ্র অক্টোপাসের বেড়ীবাধে হিমশীতল 
মর্গাগৃহে উল্লাসের ভজনগীতে 
ধনীদের ধন মৃত্যুর আনন্দ তান্ডভা নৃত্যে 
মৃত্যুঞ্জয় ডমরুধ্বনিতে প্রকম্পিত, বিকশিত কলেবর
কলেজ পড়ুয়া মুক্তা কেঁদে ভাসায়
ফসলিয়া দক্ষিনাঞ্চলের আঁখিদ্বয়,ঠোঁটের কোণে জাগে ইথারের ঝিরিঝিরি বৃষ্টি
দূর দৃষ্টি.... পিতার মুখ....ভাইয়ের আদর....
ঝাপসা মাঠের সীমান্ত ঘেঁষে বিস্তীর্ণ ইউরেশিয়ান চিন্তন
চিরন্তন সবুজ, চিরন্তন আলোক,চিরন্তন বহমান সময় 
ভিন্ন বিষয়ের ভাঁজে ভাঁজে নকশীফোঁড়ে চিত্র গড়ে।

৩.
সন্দেহের বাটি

একটা ফিনিক্সের সন্ধ্যায়
রকমারি আদরালয়ে আরাম কেদরায় বসা ইমাম
যুক্তি ভঙ্গির দৃষ্টিতে মুক্তায় ভাসে
নাভিশ্বাস শতরূপার ন্যায় 
তথ্য-উপাত্ত সঙ্গমহীন
সীমানা জল ছুঁয়ে জাগর কাটে
আর্তচিৎকারে বেলুন বাষ্পে বারবার হোঁচট খায়
খবর আসে রোজ,গল্পের নামে শিকার ধরা
গানওয়ালা ফকিরি টানে সিন্নি বিলায় গোঁফ হেসে
মাতালের সৌখিন একতারা বেহুঁশে মাতোয়ারা 
গ্রাম্য দেবী তুষ্টি একঘটি দুধ-কলায়
সুক্তো পাতে এঁটো তালায়
আঃ...রক্ত রঙে স্বদেশী চাষা
আজ কেন হতাসা
শনির আখড়া,বেল মন্দির, জগন্নাথ ধাম
গিজগিজ করে ফিলিস্তিনের কপাট
গান্ধার কে আফগান বানানোর প্রাক্কালে 
যেমন করে বদলে যায়
শ্রীগঞ্জ হাবিবগঞ্জে !! 

মানিক ছুটে যায়,নোঙর ফেলে
জাল গুটায়,দাঁড় টানে
জ্যোতিও পরহিতৈষী গুণধর 
বিধিবাম,দয়ারাম
ভূমিপুত্র বসুন্ধরা 
মালিকানা খরখরা
শ্যামল পুড়ে হয় খাঁটি 
এটা জাহান্নাম নয়
আপন স্বদেশী মাটি।। 

দেখেছি যবনিকা যৌবনের যৌক্তিক বিচার
দেখেছি মৃত মানুষের ক্ষুধাময়ের হাহাকার। 
দেখেছি সারিসারি বৃক্ষের সমবায় সমাহার 
দেখেছি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের বাহার।

তখনও অর্ধেকের দারুণ করুন অবস্থা 
একদিন সবাই সচেতন স্তরীভবনে সস্তা। 

আমরা সেই থেকে আজকেও ভাল দেখে চলেছি
ঈশ্বরের নামে পিচঢালা ইট বালু নিজেরাই বয়েছি।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন