বিভাবসুর কবিতা

শান্তিনিকেতনের শোকগাথা 


১. 
সময়ের পার ধরে একা একা 
হেঁটে যাচ্ছে কেউ 
তার হাত ধরে আছে 
চাঁদের নিভন্ত  জোছনারা

২. 
দেখি তোর পায়ের ধুলোরা 
কালো রাস্তার দুধারে
হলুদ হয়ে ছড়িয়ে আছে 
যেন সোনাঝুরির ঝরে যাওয়া রেনু রেনু 


৩. 
তোকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে
আমি পরিধি বরাবর হাঁটি 
হায় তুই বিকেন্দ্রীকরণের অছিলায়
আমাকে নৈবৃত্তিক করে তুলিস 

৪. 
এটা  রূপদক্ষের বিচরণ ক্ষেত্র 
সুতনুকারা গ্রীষ্মাবকাশে 
তাই ছাতিমের মাতাল গন্ধও 
কেমন পানসে হয়ে আছে 

৫. 
শরতের বিদায় বেলায় 
কাশের বনে রিক্ততার প্রলাপ 
কোপাই ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে 
তোর জন্য আজ কিছু ঢেউ কুড়িয়ে নেই

৬. 
সবুজ ধান ক্ষেতের পেক্ষাপটে 
একটা মাছরাঙা অনেকটা উড়লো 
প্রসঙ্গক্রমে কেন জানি না 
তোর ধারালো নখের কথা মনে এলো 

৭.
দিগন্ত সমীপে নিজেকে ছড়িয়ে দেই 
এত ধুধু জেগে ওঠে বুকে!
এভাবে ভেসে ওঠে ভুলে যাওয়া নারী 
কখনো কখনো জীবনকে শোকধ্বনি মনে হয়

৮. 
হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে যাই সোনাঝুরির বন 
বন আমাকে আদিমতম সুখের কাছে নিয়ে যায় 
একা একা অরণ্যকথায় 
বারবার তোরই প্রসঙ্গ আসে

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন