নিমাই জানার কবিতা


গণিত বানপ্রস্থ

ঋকবেদ পড়ছে হরিচাঁদ
হাত দিয়ে নিজের গূঢ় ক্লোরোফিল খুঁজছে রাতে কেউ আত্মহত্যার গ্লোবিউলিন ঠোঁটে ভাঙে চুপিচুপি নিজের কাটা হাতকেই আত্মহত্যা ভেবে মাথার ভেতরে ঢুকিয়ে রাখি , হাত কখনো আত্মহত্যা করলে ও প্রমাণ রাখে না
কাটা হাতের চোখ থেকে পোস্টমর্টেমের দুর্গন্ধ হাতে কিছু নিষ্পাপ মায়োলেমা
সব অবৈধ রাশিচক্র ভুলে বাঁশি বাজায় অন্ধ মুরারীমোহন ,জ্বর জ্বর গা
গণিত একটি বানপ্রস্থের উদাহরণ



স্পাইরাল সোয়েটার

ওষুধ ,সংসারের মতো ভাঙ্গা কাঁচ জুড়তে পারে
এ কথা বলেছিল দুমুখো স্পাইরাল সাপের নীল মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ
অপারেশান থিয়েটারের বাইরে লাল আলোটির অনিয়মিত রজঃ স্রাব
নার্সের মতো হাসপাতালটিরও মৃত্যু নেই
হিমঘরে যাদের গায়ে নার্সের আঙ্গুল লেগে থাকে তারা সবাই জমাট মেঘ
আমার ব্রহ্মতালু ভেদ করে বেরিয়ে পড়ে পারদ আমি নীল রঙের পেটিকোটের দিকে তাকাতেই একটি লিপিয়ার মেয়ে সোয়েটার গায়ে যক্ষ্মার ওষুধ খাচ্ছে



ঘাস বীজের ০.২৫ অঙ্গজ জনন

উড়ে এসো ঘাসবীজ পায়ে সিলেন্টেরন দাগ নিয়ে, পালকের শ্বাসবায়ুর মতো পাতালপুরী রাজা পমগ্রেনেট দানা খাচ্ছে
আমার ছেঁড়া জামার প্রস্থ নিয়ে সমুদ্র তলদেশে গেল ইবোলা নারীর মাঝি , ঈশ্বর সদৃশ চোখ
আখরোটের ডাল ভাঙতে ভাঙতে তিল ফুলের মতো পবিত্র হয়ে গেল
বৃক্ষের তলায় বাবা অঙ্গজ জনন বেঁধে রাখে সাপের খোলস দিয়ে
নৌকায় রাখা পরিচ্ছদ নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছি লাইকোপোডিয়াম জিভের স্বাদ নিয়ে
সকলের পায়ে নগ্নতার ক্রিশক্রশ দাগ ছিল



সাহসী রিউমাটয়েড

কবিতা না লিখতে পারা একটা অসুখ নয়
বরং কবিতার অক্ষর পেটে রেখে জলীয় বাষ্প হয়ে পরকীয়ার সাথে ঘর ছেড়ে যাওয়া
বড় অসুখ
অভয়ারণ্যের কিছু সাহসী হরিণের পিঠে জলপাই পোশাক পরা পুলিশেরা টহল দিচ্ছে
অনেকদিন ধরে খুঁজেছে তোমার ব্রা রঙের টিপ
সকলের গাঁটে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস
অসুখের কথা ভাবতে ভাবতে মৃত ঘোড়াদের ন্যায় চৌকাঠ লালাভ ফকির মানুষ সাজে
প্রজননের নেশায় একটি কৃষ্ণকায় দীর্ঘ কবিতা লিখে ফেলেছে অমাবস্যার দিন



ডেনিম (১/২) ভগ্নাংশ বীজগণিত

দীঘার সমুদ্র তট থেকে বৈধ ঝাউপাতা কুড়ানোর পর সংজ্ঞা হারিয়েছে ছত্রাকের দেওয়াল
গভীর রাতে উষ্ণতা নিয়ে বাড়ি ফেরার ঠোঁটে কালো সাপের লিপস্টিক , ডেনিম এক্সোটিক পারফিউম ভ্রূণেরা সিসিলি দ্বীপে বৈতরণী পারাপার করছে শিমূল শাড়ি পরে
গভীর রাতের সন্তান মুড়ির থালার বীজগণিত প্র্যাকটিস করে , আঙ্গুলে এক দশক
তুমি কি তাদের সেলুলয়েড কার্নিভাল , জিংক সায়ানাইড অথবা করকরে বালিদানা ভেবে এড়িয়ে যেতে পারো
যদি হঠাৎ তোমার হার্টের অসুখ ধরা পড়ে



স্ফুটনাঙ্ক ও তিনটি পুরুষ

এইতো চিতা থেকে উঠে এলাম
ঈশ্বর উত্তপ্ত হয়ে আমার সাথে পুড়ছেন 
হাড়ের তরল পাশ বালিশের দিকের উদ্যানটি খোলা , ঠোঁট জুড়ে স্ফুটনাঙ্ক ও বেল পাতার স্তোত্র পাঠ
পাশাপাশি পুড়ে যাওয়া আনন্দে ধোঁয়া উড়ছে কিলবিল করছে কেঁচোর দৃষ্টি
পুষ্পক রথ , অশৌচ পোশাক রাধার মতো জন্মছক বসিয়েছে ক্যালকুলাস গণিতে জোনাকির মতো সব পুরুষরাই হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে
সকলেই হাতে মহাকাল ত্রিশূল ,সহস্র সতী পিঠ 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন