অণিমা মিত্র

১) অলীক উবাচ

বাহান্ন তাসের রং খেলে যাচ্ছি আয়নায়।
বিরহী অন্তরবাসে  রুদ্রবীণা 
অশ্রুমতী রোম রোম পুড়ে যায়

প্রাকৃতে বটতলা যাপন
ব্যাকরণ কৌমুদীতে তিনি
অলুক তৎপুরুষ।

দ্বিপ্রাহরিক প্রেক্ষাগৃহ। 
ম্যাটিনি শোয়ে নীলনদ।
কৃষ্ণকলি সরমার
রাম্পে হাঁটা ছন্দে

রক্তচাপ নিন্দনীয়
যদিও বাঘ ও বাঘিনীর  সংঘর্ষণ অলীক উবাচ।


২)জিহ্মগ দুপুর

দিব্য ফোটা সাবান গোলাপ
ব্যালেরিনা দুই পা
ওকে চিনি রবির বলাকা
মধ্য দুপুরে দেখে ফেলি
ঘোর লাগা সাপ

কোথাও কী হয়ে গেলো ভুল! 
বার বার ছুঁতে চাই নীল জলে
ফুল।

ও নীলনদ ফুল বেসিন সাবান
মুহূর্তেই জোড় লাগা দ্বিরসন
ব্যালেরিনা দুই পা ঘিরে
ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী জিহ্মগ দুপুরে

কঞ্চুকি খুলে রেখে হরির ভিতরে
অজাগর চম্পুকাব্য লিখি 
মদনমন্দিরে।

৩)উন্মাদ বক্ষদ্বয়

বন্দনা করি উত্তর ঊরু 
         দক্ষিণ ঊরু
বন্দনা করি উত্তর ও দক্ষিণ বক্ষ। বক্ষ তবু দুরু দুরু

যদি দেবী রুষ্ট হন
শুনে ধারাবিবরণ
ভাসে উত্তর ও দক্ষিণ
ঊরু ও বক্ষ

স্বপ্নে বেসাত শয়নকক্ষ
হাসে বক্ষ ঊরুদ্বয়
জায়মান বাংলার
উন্মাদ হৃদয়

চতুরাক্ষর-১

মাতিসও কিছু আদর-ঘাম- কথা শিলমোহর প্রাপ্ত হ'লো।
জ্ঞানী ডাকঘর যথাস্থানে পৌঁছোতে ঘাটশিলায় জলের সাথে গোপন চালাচালি স্বভাবগুণে।
স্নাতক তিন ফোঁটার সংকেত পায়। চুপ...

চতুরাক্ষর-২

একটিই চতুরাক্ষর। নিরাকার তুমি হে, আমার অবতল।
ঐ অব্দি।বিপ্রতীপে মীনকাঁটা
খাঁড়িমুখ। চোখবাঁধা আবীরার 
ষড়রসে ভার্চুয়্যাল বেণিসংহার।

চতুরাক্ষর-৩

মাধ্বী নাভিগ্রামে ব্রাহ্মীস্থিতি খড়মছাপ।
অসমাপিকা কোচিংশেষে
এই বঙ্গাব্দের মধ্য বিকেলে
লবঙ্গঋতুর একমাত্র সহায়িকা
অপহ্নুতির দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।

এমত প্রার্থনা মঞ্জুর হ'লে
তেকোনা ডোঙায় শরণ নিলেন বোধিবৃক্ষ।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন