পলাশের যদি জটিল অসুখ হয়

নিমাই জানা


হাতের ত্রিশূল রক্তকণিকা ভাঙলেই আমার দেহ থেকে পলাশ বেরিয়ে আসে, কাঁধের গামছা নিয়ে


স্যালাইনের মতো তাদের আয়ু বড় কম

গর্ভকেশর নেই বলে তারা ঘন বর্ষার দিনে আয়রন ট্যাবলেট খায় বিষ মিশিয়ে

ঘন ঘন এবরশন আর কৃষ্ণচূড়ার গন্ধ নিয়ে খানিকটা উদাস হয়ে আছে দুপুরবেলার অলস যুবতীর গণিত

শরীরের আগুনে তাপ কম ছিল

তারা কেউ সবুজ ধান গাছের মাথার উপর অবৈধ সংসার গড়ে তুলে নি

পাঞ্জাবির ভেতর একটি অর্জুনতলা লুকিয়ে আছে , গায়ে অজস্র ফেব্রিকের ভাঙ্গা নৌকা

অবৈধ প্রেমের ক্ষতে কৃষ্ণ ঠাকুর ক্যাকটাস ফুল আর জীবনদায়ী ওষুধ ভরে দিয়েছে


নিজের বাবার হাঁ মুখের ভেতর কৃষ্ণচূড়ার কুঁড়ি ফুটেছে

বাবা ও প্রায় উন্মত্ত হয়েছেন 51 পীঠের জন্য

রক্ত রস , পুঁজ, নিজের ঝুলিতে রেখেছি অনেকটা ফাগুনের কঠিন রোগের উপসর্গ ভেবে

প্রেম অথবা গুচ্ছ কবিতা অনেকটা সালভিয়া ফুলের মত


মৃত্যুর গোপন ভ্যালিডিটি  ৩টি পুরুষ জানে

বসন্ত , পলাশ আর হেরোডেটাস

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন