মননশীল
  

অনিরুদ্ধ আলম 

মননশীল আকাশ থেকে সনাতন একটি তারা খসে পড়লে, তুমি শোবার ঘরের বালিশের কানে-কানে বলো, ‘অক্ষহীন হলেও, ভালোবাসা কক্ষনো একেকটি বকলম বদ্বীপ নয়।‘ 

কাবেরী নদীর তীরে প’ড়ে-থাকা টিপু সুলতানের তীর একটুকরো রোদ্দুর হয়ে কোথাও কি দীপ্ত দিগন্ত এঁকে দিল? 

দক্ষিণের বাতাসে ভর করে শীতের কফিন-কফিন কুয়াশা। কিছুদিন কাটাবে কি উত্তরের তালবিথি-আঁকা তেপান্তরে? 

রুপাঞ্জেলের রাঙা পদচিহ্নগুলো মুছে গেলে, ধুলোদের হৃদয়ে সর্বনাশ রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল। এইসব এপিটাফ কেবলি ডেকে আনে সান্ধ্য আড্ডার অলসতা, মহিষের শুষ্ক চারণভূমিজাত অন্ধকার-প্রবাহ। 

বন্ধ দোরের পাশে পড়ে-থাকা সনির্বন্ধ শ্যাওলারা একসময় পোড়োবাড়ির পরমাত্মা হয়ে উঠেছিল। 

চিত্রলেখা, ঊষাময় পায়রাকে উড়িয়ে দাও দ্বীপান্তরে। আবার তাকে কোন মায়াজালে বন্দি ক’রে কারুকলার নামে দীক্ষা দাও যুদ্ধজয়ের দূতিয়ালি? একটু পেছনে ফিরে তাকালেই দেখতে পেতে, এই অবেলায় সবিনয় ছাতা হাতে নিয়ে তোমার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি সবিশেষ।

3 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন