বসন্ত ও পলাশ 

শান্তনু রায়চৌধুরী 


দুর সে তো খুব দূর তো নয় 

অনুচ্চ টিলা ঢেকে দিয়েছে পলাশ 

কাছেই কোথাও মৃদুমন্দ কুহুধ্বনি 

বসন্ত সমাগমে জাগছে আদিম অভ্যাস 

অন্ধকার যদিও খুবই প্রিয় 

তবু আলোর অভ্যাস সুবাসিত হলে

আমাকে প্রেম কিংবা মৃত্যুদণ্ড দিও 


শূন্যতা মানে ডাঁসা পেয়ারার গন্ধমাখা অলস দুপুরের প্রণম্য নীরবতা 

যা তুমি মুখরিত করেছিলে ঠুকরে ঠুকরে আর নিঃসঙ্গতা লিখেছিল প্রথম প্রাপ্তবয়স্ক কবিতা 


তোমার কণ্ঠলগ্ন হয়ে 

বুঝেছি কতটা দূরত্ব আছে ছুঁয়ে 

চারপাশে প্রস্ফুটিত উদ্ধত পলাশ যত 

সেও আসলে মিথ্যে বসন্ত 


আকাশকে কলঙ্কিত করে 

দক্ষিণের ভাঙা জানালা 

দেখিয়েছিল বৃষ্টিসম্ভাবা মেঘ

সৌজন্যবশত ফুল ফোটাতে মেলেছে ডালপালা 


পদ্মগন্ধ গায়ে মেখে যে বাতাস 

জলের গল্প বলেছিল আগুনকে 

পাথরকে দিয়েছিল বিগ্রহের আশ্বাস

সে সমস্ত প্রেম সমর্পণ করেছিল ফাগুনকে 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন