নীলাদ্রি ভট্টাচার্য-এর একগুচ্ছ কবিতা

বিপরীত 1

হাতির বিপরীত আতিপাতি 
লিখেছিলাম তাই, খাসজমি খাস্তা হয়ে 
এত মুচমুচে। তোমার মুখে লাগার মতো 
না হলে রাগ করো তবে পাবে ভাগ 
সকাল সকাল এই তালফুলের গন্ধের। 

হাতির বিপরীত বজ্জাতি 
লিখেছিলাম বলে কানমলা খেলো দুকান,দোকানে 
দোকানের দুই কানে থাকে আসাযাওয়া 
মধ্যে কিছু স্বপুষ্টি প্রকল্প। 
এতো কিছু বুদ্ধি এলো তাই। 

হাতির বিপরীত ঘোড়া 
লিখতেই, ডাকপুরুষ দেখা দিল 
অনেককাল পর। দেখা দিল স্কুল মাঠ 
অ্যানুয়াল স্পোর্টস, মোটা বাবুকে হারিয়ে 
ফার্স্ট হল শুকনো বাবু!

কে হাতি আর কে ঘোড়া 
হাতির বিপরীত কখন ঘোড়া 
ঘোড়ার বিপরীতে কখন হাতি 
জানে স্কুল মাঠ। আর রবি স্যার 

বিপরীত 2

গন্ডা গন্ডার বিপরীত অন্ডা 
যদি লিখতে পারো তবে শুনবে 
মিশ্র আশাবরীভৈরবে বলা কিশোরীর 
কথাগুলি আবার 

গন্ডা গন্ডার বিপরীত অসংখ্য 
লিখতে পেরে যথেষ্ট সাহস দেখাতে চাই 
কারণ গন্ডা গন্ডার ভেতরে থাকে 
সংখ্যা হতে চাওয়া। 

গন্ডা গন্ডার বিপরীত বৈকুন্ঠ 
একা একা চালাকবোকা নিঃশ্বাস 
মায়া ছেঁড়া বাঁধন তখনও ঝুলছে গায়ে 
একটা দুটো 


বিপরীত 3

বিপরীতের বিপরীত পরী 
জানতে পারিনি কেন কৈশোরে, আহারে। 
তাহলে এভাবে আর পরীর ডানায় ডানায় 
না উড়ে থিতু হতাম তোমার খয়েরি তিলে 
থিতু হতাম তোমার থুতুয় 

তোমরা যে হাগবে, জাগবে পিচুটি নিয়েই 
জানতে পারেনি সেই নীল চিঠি। চিঠি শুধু জেনেছিল তার বিপরীতে নীল আকাশ। 
রাত্রে সে কালো হয়ে হয়ে যেতো ভালো 
তখন চিঠিতে না লিখতে পারা কথারা
 আকাশের ব্ল্যাকবোর্ডে ফুটতো, ফাটতো না 

বিপরীতের বিপরীত যে কেউ 
হতে পারে। যখন খুশিও। শিখেছিলাম 
সেই কৈশোরে। যখন বিপরীতে তুমি 
আর তোমার বিপরীতে তোমার মা 

সুখস্বাধীন 4

সুখের বিপরীত দুঃখ লেখা 
খুব সোজা। সোজা তাকিয়ে দেখা।
আড়চোখে তাকালে দেখবে সুখের বাসায় 
ঘাপটি মেরে কীভাবে দুঃখ লুকিয়ে থাকে। 
ছাড়ালে ছেড়ে যায় সুখ 

সুখ থেকে দুঃখ ছাড়ানো অথবা 
দুঃখ চিরে কেটে বা কুটে 
তৈরি করা সুখ 
শিল্প 
সুখ থেকে সুক্ষ আর 
দুখ থেকে দুঃখ ভাবা কঠিন 
খুব দুঃখের। পারলে দুঃখ থেকে 
জন্ম নেয় সুখ। 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন