কবি প্রসঙ্গঃ-
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
ময়নাডাঙা ( আশ্রয় অ্যাপার্টমেন্ট )
পোঃ --- চুঁচুড়া. আর. এস.
জেলা --- হুগলী
পিন --- ৭১২১০২
পশ্চিমবঙ্গ
ভারতবর্ষ
ফোন --- ৯৪৩৩৩১২৯৬২



সিঁড়ির গল্প

হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

(  এক  )


মুখ ঢাকা আছে অন্ধকারের পাহাড় থেকে নেমে আসা একজোড়া চোখে। ছায়া ----- সেও তো পায়ে পায়ে হেঁটে গেছে অনেকদূর। এসব দিয়ে দুঃখের গল্প বানাতে পারবে না কেউ। চেষ্টা করলেই সাদা পাতা আরও সাদা দাঁতে হেসে উঠবে।


(  দুই  )


সকালেই তো হাসতাম। ঠিক সকালে নয়। জানলা খোলার সকালে। আলো দিয়ে গায়ে হলুদের মতো করে কে যেন মাখাতো গল্পের খবর। সেই গল্পে তুমি আমি পাড়ার কত কত লোক হেঁটে চলে বেড়াত। তোমার মেয়ে দক্ষিণের বারান্দায় এলেই আমার ছেলে কোথা থেকে সাদা পাতা নিয়ে উড়ে আসতো। প্রথম পৃষ্ঠার গল্পগুলোই আস্তে আস্তে আমাদের হাত পায়ের ভয়ঙ্কর অস্থিরতায় সিঁড়ির হাজার হাজার গল্পের ভিড়ে পঞ্চাশ শব্দে সম্পূর্ণ লোডশেডিং হয়ে গেল।


(  তিন  )


একবারও চুম্বন করে নি এমন দুটি ছায়া সিঁড়িতে পা দেব দেব করেও উঠোনে দাঁড়িয়ে রইলো। সব গল্পের বই তো সবার পড়া নেই। এমনকি কত কতজন প্রচ্ছদও দেখে নি। কিন্তু ধ্বনির গল্প শুনেছে। শুনেছে মরা পাখির দুটি অস্থির ডানার কথা। এমনই সব ডালপালার হাত ধরে ধরে বাজারের কোনো একটা দোকানের সামনে চলে আসা। তারা দুজন শুধুই তাকাতে চেয়েছিল। তারা জানতো না মাটির জল থেকে যেসব গল্প উঠে আসে তাদের চোখের আয়ু মাত্র কয়েক ঘণ্টা।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন