শঙ্করনাথ চক্রবর্তী
আমার উদ্যোগ গভীরতর
আমার নির্মাণে সময় চাই
প্রতিফল ধরে ঝরাপাতা এসে
ঢেকে দিয়ে যায় গোপন ঠাঁই
তোমাকে বসাবার একটি মাদুর
সম্বল ছিলো, কোথায় আজ
শাশ্বতী যদি ভাগ্যদেবতা
বিনা মেঘে তার মাথায় বাজ
তবুও আঁকড়ে ভাঙা দেয়ালের
রোদ টুকু মাখি গায় মাথায়
যারা শেষ হয়ে আজও বেঁচে
তাদের স্মরণিকা আমার গাথায়
হয়তো মাঝে মাঝে - ফেনিল দৃষ্টি
শাসনে রাখে, তাকে এড়াবে কে!
সম্রাট যদি অসহায়, তবে
ভিক্ষাসম্বল যাই বসে
তোমার চৌকাঠে - মুষ্টি ভরে কিছু
যা দেবে তাই যে শ্রেষ্ঠ নির্মাণ
এছাড়া বিশ্ব প্রাণীকুল আছে
তারাও শোনাবেন বৃন্দগান
জার্নাল
যেতে দাও, যদি বৃক্ষ কোটরের গভীরে শয়তান
দেহক্ষয়, মস্তিষ্কের ক্ষয় করে থাকে শতমারি ছায়া তার পরিহার করো
যেন সে অহল্যাও, প্রলুব্ধকারী
প্রস্তরীভূত হবে না সে নিশ্চিত জেনেছে কেননা ঐ কর্পোরেট পৃথিবীর মুগ্ধতার অভাব
পূণ্য স্পর্শের অপেক্ষায় থাকে না
আত্মপক্ষ সমর্থন সম্ভব তখনই
সংহতি তোমার কক্ষে কতদূর প্রগাঢ় সঞ্চয়ে
ঘর
তুমি যাকে দুঃখ বলো
আমি তাকেবলি অহংকার
বিষাদ সে অন্য কথা
ভিন্ন পারাপার
হারানো নৌকাটি যদি
অসময়ে এসে
আশ্রয় তোমার কাছে
চায় ছিন্নবেসে
দীক্ষা তখনই হবে
জন্মান্ধকারে
সখ্য-সহবাসজীর্ণ
মোমজ্বলা ঘরে
দরজা
সমুদ্র বায়ু কে আমি ভুলক্রমেও নিলামে চড়াবো না
যে, উড়ন্ত নারীরাও গোলাপের পরাক্রম সতর্ক এড়িয়ে চলে, স্থান বদল নির্দ্বিধায় মেনে নেয় :
গ্রাহ্য করে না যারা তাদের আত্মাহুতি জলস্তম্ভ হোক, ক্রমান্বয়ে শেয়ারের পতন মর্ষকামী ভিন্ন কোন বাবু চেটেপুটে খায়! তবু মস্তিষ্কের ভারসাম্যহীনতা কবিতার জন্ম দেয়
সঙ্গমে স্থানচ্যুতি নেই তার, মশকপ্রকৃতির-
মিশ্রিত রূপায়নে আলোকিত রোদ্রের সোপান
বর্ষণও মাঝেমাঝে হাতের ওপর মাথা রাখে
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন