সিম্বলিক্যালি মানেই অ্যাবস্ট্রাক্ট দুর্গা ঠাকুর

নিমাই জানা


কতজন পালক নিয়ে পাখি হতে পেরেছে

কেবল রক্তের দাগ থাকে অন্তরে, বাকি সব অমোঘ দোতারা ইমন সুরের মতো 

মানচিত্রের দুস্থ জনপদ বেয়ে উঠে আসে কালো পিঁপড়ের সারি

বিষের গভীরতা জানে বিস্তর সন্ধিযোগ ঘটে গেছে রাত্রিকালে 

অনুচ্ছেদ লিখে চলে প্রাচীন বটগাছ 

সূর্য রোদের দৈর্ঘ্য বেড়ে যায় অসীমের দিকে 

পাতার নিচে বসে থাকি গুহা পুরুষ  

ফুল ফোটে তার গন্ধে মাতাল দোতারা বাজতে ভুলে যায় কোন কালপুরুষের জন্য

অরুন্ধুতী ডুবে গেলে কচুরিপানা ছাই হয়ে ওড়ে রাতের অন্ধকারে 

মহাকাল চুপি চুপি অন্তঃস্থলে শিবলিঙ্গে এসে বসে পড়ে গর্ভ জাতের মতো 


গভীর রাতে জেগে থাকি রক্ত পেটো মশার জন্য 

হত্যা করার পর সেগুলো রাখি সাদা কাগজে 

লাল রক্ত বড় ভালোবেসে ফেলেছি এখন 

রক্তের জীবাণু ততোধিক 

আমাকে নিয়ে এক পেইনলেস স্ট্রিং বানাতে চেয়েছিল কোন এক বিজ্ঞানী 

আমি তার চরকার সুতোয় তেল মাখাতে মাখাতে অ্যানোফিলিস এর কথা ভাবছিলাম 

যে আমার পায়ের নিচের মোটা চামড়া ভেদ করে সংগোপনে রক্ত চুষে নিচ্ছে 

আমি কখন চেরিংক্রশ নার্সিংহোম হয়ে গেছি 


আমার দুই হাতে এইমাত্র সাদা বোতলে রেখে গেল লবণাক্ত জলের সমুদ্র 

সেলো টিপ সাদা হয়ে আছে কোয়ান্টাম কণিকায় 

আমার জিভের তলায় সাদা রঙের তুলতুলে ট্যাবলেট ,গলে যাচ্ছে ক্রমশ 

আমার চোখের উপর সাদা রঙের মেডিকেটেড তুলো 

আমার নাকের কাছে সাদা রঙের ক্লোরোফরম আমি সাদা অপরাজিতা দিয়ে আজকাল ঈশ্বরকে খুশি করছি 

স্বপ্ন দেখছি আজকাল যুদ্ধে হেরে যাওয়া নক্ষত্রেরা হলুদ থেকে কেমন সাদা হয়ে গেল চিরতরে 

আমি অকারণ সাদা ফসফরাসের প্রদীপ হয়ে জ্বলে আছি অর্জুনের গোড়ায় 

আমার দেহ ক্রমশ উড়ে যাচ্ছে সাদা রঙের আলোর দিকে   


এই কদিন আগে সন্ধ্যাবেলায় নিজের শরীরকে দ্বিখন্ডিত করেছিলাম 

একপাশে ব্রাহ্মন রঙের আলো 

অন্য পাশে শারদীয় গেরুয়া মাটির চাঁদ 

আমার চোখে মুখে হতভাগা দুর্গা ঠাকুর বানিয়ে গেছে 

অবাধ্য শিশুর মত ঘুমিয়ে গেছি বাঁশের পাটাতনে এলোমেলো হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে চুল 

নেশাখোর নিউক্লিওপ্লাজমের জিন গঠন করছে বংশগত জিরাফ 

গাছের তলায় থাকা দেবীর মাংস খসে খসে পড়ছে বরফ দানার মত

2 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন