বাতিস্তম্ভ
শান্তনু রায়চৌধুরী
সম্প্রতি 'আমাদের প্রভাত চৌধুরী'- শিরোনামে প্রভাতদাকে নিয়ে খুব কাছের কিছু কবি 'কবিতা পাক্ষিক'-এ আপন আপন দৃষ্টিভঙ্গীতে প্রভাতদাকে উপস্থাপিত করেছেন বলে শুনেছি। কোন লেখায় পড়া হয়নি তবে আমিনুল আমাকে বইটি পাঠালে পড়বো বলে মুখিয়ে আছি।
প্রভাতদার কথা বলতে গেলেই ব্যক্তিগতভাবে আমার নিজের কবিতাজীবনের জন্মান্তরের কথা মনে হয়। জাতিস্মরদের মতো আগের জীবনের কথা মনে পড়ে- এই জন্মে বেঁচে থেকে। এখানে এটা বলতে চাই যে আমার এই জন্মান্তরের- জন্ম ও মৃত্যুর ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন প্রভাত চৌধুরী, আমার প্রভাতদা। তাঁর সাথে আমার প্রথম বার দেখা হবার দিনটা আমার নিজের কাছে নিজের এক জন্মান্তর। সেই অলৌকিক উপন্যাসটা পরে লেখার চেষ্টা করব এবং অভ্যাস করব। মোটকথা প্রভাতদার সঙ্গে সাক্ষাতের পর আমার কবিতাজীবন- যাপনের শরীর পাল্টে নিয়েছিল। একটা সময় লিখতাম শুধু-শুধুই লিখতাম। তার না ছিল উদ্দেশ্য না ছিল বিধেয়। প্রভাতদার সংস্পর্শে সেটা বেমালুম বদলে গিয়েছিল। নাসেরদা মুরারিদা নিখিলদা গৌরাঙ্গদা সহ কত বড় মনের কাছে একটু বসার সৌভাগ্য পেয়েছিলাম। আর এসব কিছু পেয়েছিলাম রহিমদার উদ্যোগে ও ভালোবাসায়। প্রভাতদার মুখে শুনে সমীরদা মলয়দা কলিম খান- এর লেখা পড়তে পেয়েছিলাম। উন্মোচিত হয়েছিল অন্য এক কাব্যলোক। একজন বাতিস্তম্ভের সাথে আমার আলাপ হয়েছিল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন