ব্যালকনি সিরিজ
বিশ্বজিৎ দাস

১.
জতুগৃহ হয়ে উঠছে এই ঘর
আনন্দলোক নিয়ে কথা বলবার
শর্টকাট ফর্মুলা তৈরি হয়েছে এখন

একটা সিনেমার বাকিঅংশ থেকে
উঁকি মারছে স্বপ্নদর্শী ব্যালকনিরা

সীমানাহীন যে গল্প
শুনিয়েছেন আফজল আলি

সেই নদীরও কি প্রণত জন্ম আছে?

২.
সম্ভ্রান্ত জন্মের থেকে নামিয়ে আনো
এই বাবলা, খেজুর আর পাখিদের
                    অর্ধরাতের হাতছানি

এইখানে যে যার মতো ঘুমোক গর্ভ ভরে
আধো ঘাসে, নিক্ষিপ্ত অস্ত্রটি খুলে যাক

ব্যালকনি কি ব্যক্তিগত আহারের ফুলকি নয়?

৩.
একাকিত্বের মধ্যপন্থী হয় না
                কেউ এসে বলুক,
            শ্মশানে স্পিড ব্রেকার নেই

পৃষ্ঠ পৃষ্ঠা আর পৃথিবী পৃথক
                 মধুচন্দিমায় ডুবে
কোনো বৃষ্টির আড়ালে যৌথ ভূমিকায়
অভিনয় করে। আপনার স্বপ্নদোষ আছে কি!

৪.
বুড়ো আঙুল সহজেই টার্গেট হয়
অনেকেই পাশ্ববর্তী আঙুলের কাছে
নিরাপদে শরীরের নব্বই শতাংশ জমা দেয়

দেহের প্রতিটা মাংসের কবল থেকে
বেরিয়ে আসে নৌসেনাদের সমুদ্র ঘর...

আপনি তো এখনো ওই ব্যালকনিতেই বসেন!

৫.

মৃত দেয়ালের ভিতর থেকে
বেরিয়ে আসে একই মানুষ?

চাল আলু আর আলুথালু বেশে

একজন দমবন্ধ করে
একজন শ্বাসরোধ করে
একজন লালার মধ্যে রাখে ব্যালাড

দোহারী করছেন না তো আপনি?

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন