এদিক ওদিক ছড়িয়ে আছে রাতগুলো
অভিজিৎ দাসকর্মকার 

রাত এখন তৃতীয় শূন্যে গ্রন্থস্বত্ব লিখছে। 
মুখোশের অবয়বে একটা প্রচ্ছন্ন হাসি, তবুও কালসিটে জমে যাচ্ছে দেয়ালের ফাঁকে । 
চিবুকে কোনো বুক নেই, তাই অহংকার চূর্ণ করছে আয়না মহল ও লোমকূপ..
ব্যবচ্ছেদ করা হোক আমার শিরাবিন্যাস, প্লেটলেটস্ এবং স্কোয়ামাস এপিথেলিয়াম..
    তবুও 
    চিনচিন করে বাজবে বুকের ভ্যাকুমে টুনির মা-এর মাতাল করা গল্পসত্ত্বা ও রুদালি-জল ..

জলের স্রোত ক্রমশই বাড়ছে, বাড়ছে আর বাড়ছে। আর,
উত্তরদিকে ক্রমশ ছিটকে যাচ্ছে আইবুড়ো নদী..

আমার ঘুমেরও একটি সলিলকি লক্ষ্য করছি। শরীরে শরীর দিয়ে অনুবাদ করছি চোখেরশব্দ।
    পাগলাসাঁই আর স্নায়বিক ইমপ্লিমেন্ট, অভিযোজিত হচ্ছে রসায়নাগারে। 

মাথার চাপগুলো গ্রাস করছে পাস্কালের 'ল। বারীন সকালের দ্বিতীয় দিনের বসন্ত-লু 
এবং চোখের মাথায় ব্রেইলবর্ণ সুড়সুড়ি দিয়ে চলেছে।গলায় চৌরঙ্গী রোডের গান। 
অসহ্য গরম লাগছে পেটের তলারদিকটায়।

এদিক ওদিক ছড়িয়ে আছে রাতগুলো..

খুব নীরব করছিলো তোমারই প্রতিটা সংক্রমণ আর
ঘন আবেগের দুশ্চিন্তা..

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন