ঘর থেকে হাত বাড়ালে
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

ঘর থেকে হাত বাড়ালে
উঠোনের আগে এসেই থেমে যায়
অনেক যুদ্ধের পরও দুপুরের ভাঙন রোধ করা যায় নি
খুব বিশ্রীভাবে না হলেও এমনভাবে ভেঙেছে
দুপুরের একটুও যত্ন হয় নি ------- প্রচারের চেয়েও
ফাটল দেখে যে কেউ পড়ে ফেলবে
দুপুরের কোনো পাঠই সিলেবাসে দেওয়া হয় নি

উঠোন দিয়ে নেচে নেচে চলে যায়
বাস ট্রেন ট্রাম, দু একটা ভাঙাচোরা লঞ্চও
পাড়ায় প্রচার হয়ে যায় নাচই ধর্ম ------
সিদ্ধান্তের এত জোর এলো কোথা থেকে
আসলে আমাদের লক্ষ্য ছিল মেরুদণ্ড
নাচেও এত টানটান ছিল যে
সাহস রাতারাতি চূড়া ধরে ফেলে

আমাদের শেখানো হয়েছিল -------
যখন যেমন, তখন তেমনটাই মেরুদণ্ড
তাই আমাদের পূর্বপুরুষ নদী চেনায় নি
মাটি না দেখেই আমরা সবুজের সংজ্ঞায় অভ্যস্ত হয়েছি
আজ আমাদের জমি যখন ইঞ্চিখানেক
রাস্তা গুটোতে গুটোতে ঘরের দরজায় এসে ঠেকেছে
তখন আমরা রাতারাতি সিলেবাস বদল করতে ব্যস্ত
আর হাতছানি নয়, খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে
নদীকে কোলে তুলে নিতে ছুট লাগিয়েছি

নদী ঘোরে না, নিজেকেই মাটি চিনতে হয়
অবাধ্যতার শুকনো ফেটে যাওয়া মাটিতে
কোনোদিনও মেঘের চাষ সম্ভব নয়
যতবার মাথা নামিয়েছি ঠিক ততফোঁটা জ্বালানি
এখনও আমার লম্ফবাতির পেটের সঞ্চয়ে
দেখতে পাচ্ছি, একটা বালির রাস্তা
কিছুদূর গিয়ে রক্তবমি করে আগুনে পুড়ে যাচ্ছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন