ক্যাকটাস সংক্রান্ত কিছু কথা

---সবর্না চট্টোপাধ্যায় 

কিছুটা স্তিমিত হয়ে এলে, আবার খুলে দেখে নিই
চোখ, নাক, দাঁত। যৌনাঙ্গ ছোঁয়ার ইচ্ছে হয় খুব। এত ক্রাইসিস টপকে শুধু বলতে পারিনা মুখ ফুটে।
এগটোস্ট আর জুসের ব্যস্ততায় কখন ফুরিয়ে যায় রোদ!
কোন এক অগ্রজ কবি বলেছিলেন, 'বেদনার রস হল কবিতার অক্ষরের মতো'! একটা একটা করে নিংড়ে নেওয়া যেন…
আমি তাকে যদিও দেশভাগের গল্প শোনাইনি,
শুধু বলেছিলাম ফণীমনসা আমার বড়ো প্রিয়! মরুভূমি সংক্রান্ত সেই তথ্য দিতে গিয়ে বুঝেছি, দুটো ঠোঁট রক্তাক্ত হচ্ছে দৈনিক কাঁটাতারে।

অথচ এত চুক্তি, এত যুদ্ধ কোনটাই আসল সমাধান নয়। খাঁকি সেনা পিষে দিয়ে যাচ্ছে কচি ঘাস।
অথচ কতরাত কতদিন পায়েসের বাটিতে মুখ দিয়ে গেছে দুঁধে বেড়াল। ঘরের মেয়েরা মাছি তাড়িয়ে কপাল চাপড়েছে শুধু।

সেই সন্ত্রাসের ইতিহাসে কোথাও তো তুমিও ছিলে
অনুঘটক। সেদিন কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানে
না গেলে বুঝতে পারতাম না, আমার ভেতরেও একটা দেশ ছটফট করছে। একপেট খিদে নিয়ে আমি কবিতা পড়েছি হাঁ হাঁ করে। এক পয়সা দেয়নি কেও। শোনেনি মনযোগ দিয়ে। শুধু নিজের
স্বার্থ ঝুলিয়েছে মাদুলির ধাগায়।

তুমিও সেদিন আমায় বলেছিলে, ' তোমায় ভুলে গেলে চলবে না'। বুঝেছিলাম ফণীমনসায় ফুল আসছে। স্তনে মুখ দিলে ঠিক যেমন করে আসে দুধ, তুমি টেনে আনছ ধীরে ধীরে...

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন