অনন্ত ডালপালা
মু্রারি সিংহ
এক উদাসী রাজকুমার সাজিয়ে, কুয়াশা-মেশানো হাঁসি মিশিয়ে
আমাকে একদা পরিবেশন করা হয়েছিল এক বুক টন-টন গ্রামীণমেলায়
সেখানে আমি গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে
আলোয় ফেরার গান গাইছিলাম
তুমি বললে আরে-বাবা-রে-বাবা
এ কোন আলো, কিসের আলো, কেমন আলো
ওসব গান এখন আর চলে না
তারপর তোমার কথা মেনে ভাজা বাদামের খোসা ভেঙে দেখলাম
সেখানে কোনো তারুণ্য নেই
কোনো মৌমাছিপালন বা মৎস্য-শিকার নেই
শুধু কিছু কুকীর্তির আলাপচারিতা আছে
অতঃপর তোমার কথা মতোই ভোঁ-কাট্টা ঘুড়ি হয়ে ধর্মপ্রচার করতে ঢুকেছিলাম
অসুরবালিকার স্নানঘরে
সেখানেও দেখি কিছু কুকথা জাবর কাটছে
কিছু চোরাই মাল ঢেঁকুর তুলছে
কিছু অপহরণ গুনগুন করছে
এখন বলছ তুমি নাকি আমাকে রাজনীতি শেখাবে
কাটমানি শেখাবে
ধারা ৩৭০ শেখাবে
দেশপ্রেমও শেখাবে
ভাই-রে-ভাই, এবার আমি কিন্তু পরিষ্কার জানিয়ে দিচ্ছি
ভজ-গৌরাঙ্গর নাম নিয়ে এমনি করে
যদি বার বার আমার চোখামুখে এমন আচঁড়ে খামচে দাও
তাহলে এবার থেকে আমি তোমার সঙ্গে
আর কোনো খেলাতেই থাকব না
তার চেয়ে ডাঁসা-পেয়ারার দেশাচার মেনে আমি চলব নিজের পথে
শীতকালীন মুদ্রাদোষের পাশ দিয়ে
যে-পথ গেছে নেলপালিশের মানচিত্র পেরিয়ে আরো বহু দূরে
কোনো এক খিচুড়ি-রান্নার অনন্ত ডালপালার দিকে
ভালো লাগল লেখাটি
উত্তরমুছুনভালো লাগল কবিতাটি
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন