ছায়া 

---সবর্না চট্টোপাধ্যায়


১.

মেঘ নেমে আসে খরস্রোতার কাছে
ভিজে যায় টিলার শরীর
যাবতীয় দ্বিধার মুখে দাঁড়িয়ে থাকি।

দরজায় পর্দা নড়ে, চুপিসারে সরে যেতে চায়।
কাঠের কটেজ, আগুন সেঁকে নেয় হাত।

চারদিক মজে আছে চা পাতার গন্ধে
ঘন সবুজ,  মজলিস বসেছে যেন!
মুহুর্তরা আটকে পড়ছে চোখে
চাপা পড়া পোড়া দাগও বড়ো মায়াবী লাগে,
পাহাড়ের মুখোমুখি!

২.

ঠোঁট থেকে খসে পড়ে বীজ
শাঁসটুকু চুষে ছুঁড়ে দাও বহুদূরে
ঝোপঝাড়ে আটকে থাকে খোসা…
যেন কোন ছিঁড়ে যাওয়া পাড়,
শাড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে একযুগ হল।

৩.

নিজেকে ধর্ষিতা ভাবিনি তো এতদিন!
ভেবেছি এক কুঁড়েঘরে বিশ্রাম নিয়েছিল রূপকথা
কিছু রহস্য ছিল সোনায় মোড়া।
তারপর কত জল। গড়িয়েছে,
প্রতিধ্বনিত হয়েছে পাহাড়।
শুধু এক দেহ পাওয়া গিয়েছিল গভীর
নিস্তব্ধতার ভেতর, যোনির ভেতর যার 
অমাবস্যার কালো চাঁদ!

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন