কৃষি-পৈতৃক গৃহ
পিতা ---জ্বরাসুর।
পিতা জ্বরাসুর...
আপনি আমার মাতৃতুল্য...
আমি আপনার একান্তই অপ্রেম, সাবলীল রহস্য
মহুয়া কেটে কেটে যেভাবে অস্ত বানানো -- !
সেই অস্তের শ্লেষ্মা থেকে ঝিল্লি সরিয়ে নিজেকে ছিটকে রাখি
লালরস সেই প্রবল সূত্রপাত ধরে এগোতে এগোতে--- দিলের জারিতে
একটা ভোর, একটা ঘোর, একটা ব্রাহ্মণ, একটা বিনা নিমন্ত্রণ
আমারই বাহুবিহীন ঘরের মধ্যে বসত ভিটা ফেলে, এমন সৎকার যেন কানেস্তারা বয়ে আনে
আমরা তাকাই, তুমিও তাকাও পিতা
এভাবে জন্ম খুঁজতে গেলে আমার ক্লান্তি হবার নেই
এভাবে মৃত্যু খুঁজতে গেলে জীবন প্রয়োজন নেই
মাতৃতুল্য আত্মার ভেতর এক ক্ষীণ ডুব ভরে দেহকে প্রস্তুত করি
বোঝাই -- যা ছিল তাতে কতটুকু ক্ষমা রাখতে হয়েছে নিজেকে ...?
কৃষি- পৈতৃক প্রেম
প্রিয় জ্বরাসুর,
মেহগনি চারা
কেবল তুমিই বলতে পারো, এ বেলায় কোন মাছ ভালো !
ও বেলায় কোন ছোঁয়া...?
জেলে কোন গোপন উদ্বেগে মাছ চিনিয়ে দেবে--?
জাল ছাড়িয়ে উঠে আসবে কোন দুগ্ধমতী মৎসগন্ধা...!
চিংড়ি দোস্ত, দোস্ত চিংড়ি
যাচ্ছে, যাক, যাচ্ছে --- পানি
পোকার মতো চামড়া গায়ে আমাকেও ভাসতে দিয়েছ জানি ।
এইতো আঁশটে গন্ধ নিয়ে-- আলো বেরোলো
পথে ঘাটে অদম্য মিছিলের প্রজাপতি
হেঁটে হেঁটে উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে --- অন্ধকার সত্তা হারালো !
প্রভাকর রেখে জিজ্ঞাসা এলে
নির্ভুল কোনো প্রেম ঠিক তোমারই মতো তালাক দিতে জানে
আলোঘুম যায়,
মুছড়ে পড়ি গুপ্ত দরজার মনে গানে
বন্ধনমোচন যাবে যখন --- মেঘে মেঘে কাটবে প্রহর ---
তার মতন দীর্ঘ জীবন ঠেলে
ভুলের প্রশ্রয় মাখা নরম শ্বাস দিও
শব্দ দিও,
খালি ভরা শব্দ । তা নিয়ে ---
আমায় ঋণগ্রস্ত করবে তো অহরহ...?
গড় ভালোবাসার নীল বোতাম
সাম্প্রতিক ভাদ্রদিন : আয়ুর মাছ নিয়ে গেল চোখ
নূর, পানিখোদাই নূর
দেহের ভেতর নরম জল ছিটকে ওঠা
জলদশার সারগাম রেখে ওঁ পুড়িয়ে খাও
প্রজাপতি-বিশ্রী গায়ে মেখে হরিণমানুষ, তোমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে
সেই তুমি আসলে কে? কোটি কন্যার ম্যানগ্রোভ ?
জটায়ু দুলে ওঠে প্রেম পরিহার
পড়ে থাকলো তিনটি আধকন্যার ' নগ্ন '
--তা বলতে আজ রাতে দুর্বাসা গিলে ফেরত পাঠানো কালো বাঘ
প্রতীক্ষার বালুকারোড ওত পেতে আশ্চর্য কামড়ায়
একদিন
কাঁটা ফেঁটে লক্ষাধিক জনন গ্রন্থি সহিত গড় ভা লো বা সা কিনবো
ধামসা বোতামের নীল গাজল রুকসানা রুকসানা...
শক্ত চাঁদের জোছনা
বীভৎস স্তনযুগ --- নিয়ে চল আমায়...
সানুদেশ খুলে ঝপ করে মেট্রো এসো --
কুয়োপাঠ, পাতলা প্রেমের ব্যাঙদিল । কৃতজ্ঞতা ভাঙো কুসুম
কুশীদ শস্য মুখে উন্মাদিনীর ঘর অথবা আমাদের মাংসচাষ
গায়ে মোর অন্ধ...। অন্ধ ? অশ্বপোড়া রথ...
ফোর্থ জেন্ডার বুকে, অ-চাকায় বিনা নিমন্ত্রণ : ঘুরে ঘুরে অম্লান হরীতকী, বেশ তবে বেড়াল খুঁজে জানিও...
স্বয়ংবর যুদ্ধে একটু হেসে নাও --
বিপথ মাখা সন্ন্যাস !
হৃদ্রতার কালো-টুকটুকে অসুখ সারিয়ে-- কুর্চিফুল কোলে নেমে এলো
টলমল পাটলিপুত্র, টলমল পাটলিকন্যা গায়ে সেবার আমাদের খিদে ছিল চিরকাল
শক্ত চাঁদের জোছনা চিবিয়ে তুমিই তো সর্বকালের গোঁসাপ
অতএব রয়ে যাওয়া হাতের ফাঁকে দীর্ঘ উটপাখি...
বল্গা বনের চিরহরিৎ
হনহন -- হনহন -- হন্যে হয়ে দুম করে ফেঁটে
--- টুপটাপ বৃষ্টিসোঁদা কাক
একটি ফুড়ুৎ হেঁটে যায় তার মধ্যিখানে
কামড়ে ওঠে উই দেহের ঢিবি
আমি বললাম আমার ভেতর একটি শরৎকাল দীর্ঘদিন ---
গ্রীষ্মের রোদজল গিলে খায়
আর কাপড় খুলতে খুলতে ভোর
ডিঙিয়ে যাবে ঈশ্বরচন্দ্রের ফয়সালা
জীবনে এই দুটি প্রশ্ন করতে আজ
বড্ড ভুলে গেছি ---
বুড়ো হয়েছি, দোতারাকে ইস্কুল ভেবে চশমা গুনেছি
অংক ধরে হেঁটেছি, কবির সংসার বন্দক রেখেছি
ন্যূনতম এসরাজ পাল্টে নিজেকে বসিয়েছি প্রাপ্তবয়স্ক ঘুনে
ঘুনের বোতাম খুলতে খুলতে পেঁয়াজবনে নাম লিখিয়েছি উড়ানছু
জয়া বসাক
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন