মুখর নীরবতায় 

হাতের উলকাঁটার অসমাপ্ত উষ্ণতা জুড়ে
আগামী শীতের সম্ভাব্য সিলেবাস।
                   যদিও তুমি, এই মূহুর্তে 
নিয়ন রাতপোশাকে, গায়ে অনেক পাতা, 
জ্বলছে হ্যালোজেন শরীরের বাক্যহীন ক্রিয়াপদে

দাবানল লেগেছে তিতিফুলে
আহ্লাদে অভিযোজিত পুষ্পবন। 
ঘুমভাঙা এক হলুদ পাখি 
'প্রপঞ্চময়' বলে ডেকে ওঠে : অসাংবিধানিকভাবে

অভিসন্ধিৎসু শিশিরের হাতজোড় 
দীর্ঘ আয়ুর প্রার্থনায়।
                           এ সব কিছু ঘটে যায় 
লীন শব্দে...কালপুরুষের ঊরুর উপত্যকায়! 








ভোরের কোলাজ

বিপুল আলো, আরবার দ্রোহজাল
শ্মশান ঘুমিয়েছে, জ্বলেছিল তৎকাল
সংসার জেগেছে, পিতার ভারী কাঁধ
জাগে শস্য, নেভে তিমিরের চাঁদ 

বাউল ভেঙেছে ঘর, কীর্তন প্রকটে
ভানু প্রকাশিত, তার অপলকে
তাবৎ মায়ার শেষ,  মুক্তির ঘ্রাণ 
পাখিসব ঊর্ধ্বমুখী কুসুমের গান

ভোররাস্তার মোড়, সবুজক্ষেতের ডাক
তুমি চলমান,  নামমাত্র বংশভাক
কুলুজিনামার পাতাল দলে
স্নান সারে পিতামহ শিকড়ের জলে



সৃশর্মিষ্ঠা 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন