১
বাসনা
একটি ঘুমন্ত বৃষ্টির সকালে
স্বপ্ন দেখছিল গাছের পাতাগুলি
তোমার ঠিকানা দিইনি তাদের
সর্বহারা হলে নদী হয় না সকলে
কেউ কেউ গাছ হয়ে যায়
পথিক পথিক সুখে আঁচড় কেটেছে যারা
পথটির বুকে, তুমিও
তাদের মতো যাযাবর ছিলে না তো
কোন্ ভ্রমে তবু চাই,
তবু চাই,
উঁচু ডাল থেকে ফুল পেড়ে দাও একবার
২
স্বপ্ন দেখছিল গাছের পাতাগুলি
তোমার ঠিকানা দিইনি তাদের
সর্বহারা হলে নদী হয় না সকলে
কেউ কেউ গাছ হয়ে যায়
পথিক পথিক সুখে আঁচড় কেটেছে যারা
পথটির বুকে, তুমিও
তাদের মতো যাযাবর ছিলে না তো
কোন্ ভ্রমে তবু চাই,
তবু চাই,
উঁচু ডাল থেকে ফুল পেড়ে দাও একবার
২
দান
এইসব মোহিনী উজানে
মাঝি হয়ে যাচ্ছে সময়
তোমাকে আগুন করি,
ধরি নাভিস্থিত আঙিনায়
হে শ্যাম! পুণ্য ঢালো
ঢালো পাপ,
ঢালো শ্রান্ত আত্ম-পরিচয়
মাঝি হয়ে যাচ্ছে সময়
তোমাকে আগুন করি,
ধরি নাভিস্থিত আঙিনায়
হে শ্যাম! পুণ্য ঢালো
ঢালো পাপ,
ঢালো শ্রান্ত আত্ম-পরিচয়
৩
রাগ
যত গূঢ়
যত বিস্তৃত এ মায়া,
নিভন্ত নক্ষত্র-বুকে সন্ধ্যা-বাতিক
ঢেউ ওঠে, ঢেউ ওঠে কার
কার সুরে বিকশিত দামাল রসিক
দিকচক্রবাল-জুড়ে লিখেছি কাঁপন
যে রাগ অন্তরে বাজে
তার প্রিয় ধুনখানি স্পর্শ রেখে যাক
৪
যত বিস্তৃত এ মায়া,
নিভন্ত নক্ষত্র-বুকে সন্ধ্যা-বাতিক
ঢেউ ওঠে, ঢেউ ওঠে কার
কার সুরে বিকশিত দামাল রসিক
দিকচক্রবাল-জুড়ে লিখেছি কাঁপন
যে রাগ অন্তরে বাজে
তার প্রিয় ধুনখানি স্পর্শ রেখে যাক
৪
কোটর
শিথিল হয়ে আসছে অন্ধকার
তবু কি সুখ?
গুঁড়ো গুঁড়ো বেদনার হুল ফুটছে কতই
দ্যাখো, পশম বুনছে শরীর
কাজলে গভীর চোখ জ্বলজ্বল করছে অধীর
এত দ্বিধা! এত ক্ষুধা!
এক-পা এক-পা করে
কোটরে ঢুকে পড়ছে একটি জঙ্গল
৫
তবু কি সুখ?
গুঁড়ো গুঁড়ো বেদনার হুল ফুটছে কতই
দ্যাখো, পশম বুনছে শরীর
কাজলে গভীর চোখ জ্বলজ্বল করছে অধীর
এত দ্বিধা! এত ক্ষুধা!
এক-পা এক-পা করে
কোটরে ঢুকে পড়ছে একটি জঙ্গল
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন