রিমি দে





গুচ্ছ ফুল       





অসুখ

একটু ল‍্যাজে গোবড়ে
ততটা গুছিয়ে নই
সবুজ আলো জ্বলে   মিটমিট করে
তুমি সময় হিসেব করে মাঝরাতে আসো
তখন ওখানে ভর দুপুর 
মৃদু রোদ          হালকা হাওয়া  মুসান্ডার

মুঠোতে সবুজ আলো মোবাইলের 

হয়ত   ভেতরেও  ঘন  সবুজ
যেন সবুজ গালিচা পাতা
কেউ কেউ হেঁটে যায় শব্দহীন অবিরাম

আশপাশের কেউ কি বোঝে
নাকি বুঝেও না বোঝার ভাণ করে মুখ ওপাশে ফিরিয়ে রাখে

ওয়াইফাই বন্ধ
ডেটাও অফ 
তবু  দগদগে ক্ষততে বিক্ষত হই

ঠিকঠাক সামলাতে পারিনা নিজের যাবতীয়!





এতটাও  নির্ভুল হতে   চায়নি         


আর অকারণে বারবার পর্দা তুলে পথ দেখা নেই
পথ মানেই  যেন এক অজানা পুলক
যেন পাহাড়ি গলিতে উপচে পড়া বাহারে
বসন্ত দরজা খুলে মেলে রেখেছে অগাধ
মন যাকে খোঁজে তার খোঁজ করা
খুঁজে পেলে নতমুখী   মৃদু ঝুমকোলতা
অধোরে অধরা অগোচর কিছু বিন্দু বিন্দু জল
যেন  স্পর্শের কাছেই আকাঙ্খিত সিন্ধু নদ....
চৈত্রজলের 
তবে কি মনের পথ থেকে সরে গেল আতর
এত যে কাতর ছিল    এত যে নিন্দে মন্দ সন্দেহ
সব কি নিঃশেষিত 
জল কি শুসে নিয়েছে উত্তপ্ত কোন গান

এখন  উতলা চুপচাপ  শূন‍্যতা নিয়ে খেলে
অন্ধকার  হাতড়ে  আলো অন্ধকার সব টের পায়

ভুল করে না





আলো


আলো আলো আলো এমন আত্মার চিৎকার শুনে
আলোর অন্বেষণে বের হই
চারদিকে চাহিদারা ঢেউয়ের মতো উথলে উঠেছে
আরো আরো আরো.......
ভয়ে সিঁটিয়ে থাকি গাঢ়

নিচে নামি

বহুকাল আগে শুয়ে থাকা উঠোনের কাছে যাই
উঠোন স্বাগত জানায়
অপেক্ষার চিহ্ন ফেলে রেখে গেছে কেউ
কেউ কি কিছু নিতে ভুলে গেছে
নাকি ইচ্ছে করে ফেলে গেছে লুকনো রোদ্দুর
একত্রিত হয়ে ছায়ারা আরও ঘন হয় 
নিজস্ব দুপুরের কাছে

সেই আমি     

মাঝে মাঝে নিজের রোদ্দুর নিজেই খুঁটে খাই
আমার ছায়ারা ঢেকে রাখে 
গোপনে গোপন তুলে দেয়
আলোর দেবতা এসে অন্ধকার দিয়ে ঢাকে!





মরুভূমি      


কতদিন অবাধ‍্য হইনি
কতদিন  রাগি  রাগি  চোখ মুখ    
আমার জেদি চোখের থেকে অশ্রু ঝরে পড়ে না

এখন হিসেবে পটু  সমাজের আলো অন্ধকার 
সংসারের হিসেবেও একশতে একশ
জীবনের প্রোগ্রেস রিপোর্টের খুঁটিনাটি তুমি মন দিয়ে দেখে
নিচ্ছ টের পাই
পুরনো পড়াও ভুলে যাব বলে পড়ে নেই মাঝে মাঝে

এই যে ভরপুর ধোঁয়ার কুন্ডলী ভেদ করে এগিয়ে আসছ তুমি
আমি তোমার হাত চেপে ধরে রাখতে পারছি না
বালির মতো ঝুরঝুর করে পড়ে যাচ্ছ

পড়েই যাচ্ছ অবিরাম!

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন