সন্ন্যাসী পাখি ও লাল ক্রোমোজোমের সেফোডক্সিম সেবিকারা

ক্রোমোজোমের মতো ঠান্ডা শীতল একদল সন্ন্যাসী পাখি উড়ে যাওয়ার পর লাল লাল রক্তকণিকা নিয়ে শ্বেত চন্দনের গোড়ায় ৩১ ডিগ্রির বাষ্পায়ন জ্বর আমাদের হলুদ অগ্ন্যাশয়ের তৃতীয় লগারিদমিক ঘনত্ব নির্ণয় করে যায়

একজন সেফোডক্সিম সেবিকা জানে মৃত্যুর পর প্রতিটি মানুষ কতবার বধির হতে হতে কাঠের কফিনের ভেতর মৃদঙ্গ বাজিয়ে সান্ধ্যকালীন কাশ্যপ হয়ে ও ফিরে আসা যায়  ,
স্থির জলাশয়ের মতো তার কম্পনহীন চোখ , ট্রাই গ্লিসারাইডের ভেতর এক বাষ্পায়ন সাগর ভেসে থাকে আমার রক্তাক্ত জামার মতো ,  পাঞ্জাবি থেকে গলে গলে পড়ছে স্টেরয়েড আর হেমলক বিষের জমাট থ্রম্বাস , বৃষ্টি হয়নি মৃত্যু আসেনি বলে

আমি শুধু অগ্নি বলয়ের মতো শোষিত জলীয় বাষ্পের আবছায়া পীতাম্বর দেহ নির্ণয় করি , অশোক এ রাতেই স্থলপদ্মের পাঁজর গুলোকে নিয়ে কাটা কাটা অলিন্দের ভেতর রোপন করে যায় শিমুল বীজের মতো অঙ্কুরিত আদমের শুক্র ও সন্ন্যাসদের
১০৮ জন সন্ন্যাসিনী নারীদের নিয়ে ভূমধ্য নির্ণয় করে যায় কালিদহের ধূসর অন্তরীক্ষের বাঁশি বাজানোর পর , সকলেই অমৃত দেশে সমাকলনের স্নান সেরে অবৈধ হয়ে যায় মথুরাপুরের মতো ,
আসলে ধাতু কল্প বিষ আর কিছু নয় , একটা গ্রাফাইট কণিকার মূল কেন্দ্রে গিয়ে রাধিকার সাথে অনন্ত যৌবনের সাথে মিশে যাই আমি কোন অচিন নগরের বৃক্ষ হয়ে
প্রোটনিক অন্ধকারে তিনটি সোডিয়াম দানার চতুর্ভুজ লিঙ্গ আগুন জ্বেলে দিচ্ছে এক বিজারণ পুরুষের গায়ে
আগুন আর ব্রহ্মাণ্ড ছাড়িয়ে চতুর্থ পৃথিবীর কাছে একটি ডানাময় উদ্বায়ী এলাচ ফুলের মতো গর্ভাশয়গুলোকে কোন এক অভ্যন্তরস্থ বীর্যপত্রে রেখে আসি অজগর বদ্বীপের মতো

প্রতিদিন গোলাপী ছায়াটি আপতন আমড়াখালির রাস্তা দিয়ে আমাকে কিছু অবতল স্ট্রেচ মার্ক দেখিয়ে যায় , যেখানে রাখিবন্ধন ও হোমাগ্নি জ্বেলে আমি পাথর পুরুষ হয়ে যাই







অপটিক চোখ ও হরিশ্চন্দ্রের ৪২ দৈর্ঘ্যের আদিম স্নানঘর

ঈশ্বর আমাকে কোন এক প্রাচীন ভূখণ্ড ছাড়িয়ে উদ্ধবপুরে নিয়ে চলো , আমার শরীরের সব শীতল-প্রত্যঙ্গে ডুয়ার্স গড়ে উঠুক ,  লাল কাঞ্চনজঙ্ঘা গড়ে উঠুক, অরনিডাজলের মতো সাপ রঙের বালকেরা শ্যামাঙ্গী হতে চাইছে বারবার ,

বুকের কাছে সাদা জবার এক একটা লিঙ্গ শৈথিল্যের গল্প করার পর আমি শুধু পাতলা হলদে রঙের স্নানঘরে এসে আদিম হব্যবতী হয়ে যাই ,
দেয়াল বেয়ে শুধু ঘোড়ারা দৌড়ে যাচ্ছে পিচ্ছিল বরফ স্তম্ভের উপর দিয়ে , ৪২ দৈর্ঘ্যের স্নানাগারটি বরাবরই পিচ্ছিল হয়ে থাকে আদিম উপবনের মতো
পৃথু শরীর ও পৃথিবীর দীর্ঘ স্তনবৃন্ত গুলোকে দোহন করে যায় মনু , হাতের ভেতর অজস্র সুদর্শনের  তীক্ষ্ণ চক্রব্যুহে যুধিষ্ঠির ঢুকে যাচ্ছেন বিবিধ লিঙ্গ পুরান নিয়ে ,  ৩৬০ টি দরজার পাশে নয় জন দ্বাররক্ষী দাঁড়িয়ে থাকে আমাদের ইট্রাকোনাজল খাওয়াবে বলে ,  বৃষ্টির পর প্রতিটি মানুষ সারবিট্রেড খেলে অজগরের তীক্ষ্ণ পেটে বরফ জমে ওঠে পালক ও বনচণ্ডাল পাতার মতো

অপটিক চোখ নিয়ে পিশাচেরা অসংখ্য সাংকেতিক অক্ষর নিয়ে বিবিধ চন্দ্রমালার ভেতরে ঢুকে গেল আমাদের সিংহাসন অবৈধ আর বৃষ্টিদানা ও কিছু পরাগ ফুলের তরোয়ালটি চকচক করছে এসো অবতল নদীর পাশে কিছু সমর্পণ সেরে আসি
বারানসি জনপদে এসে আগুন জ্বেলে দেয় হরিশচন্দ্র , আর কোন অসুখ নেই আমাদের , সিপিয়া রঙের বীজ ও লিঙ্গ মন্দির স্থাপনের পর
শুধু আণুবীক্ষণিক ছায়ারেখার দাঁত ও গর্ভস্থ কশেরুকার নিচে নীল নীল ক্রোমোপ্লাস্টিড অক্ষরবৃত্তের ভেতর আমার বাবার আর কোন বৃত্তচাপ নেই
আমাদের জিভ থেকে আঠালো সরীসৃপের মতো ইছামতি নদীর উচ্ছিষ্ট গড়িয়ে আসছে লাল ধ্রুবতারা রঙের ডিম্ব কোষের এক ফালি চন্দ্র গ্রহণের উদগ্র টেস্টোস্টেরন গুলো খাবার পর , 

একাকী নিষিদ্ধ কাঁচের ভেতরে দাঁড়িয়ে মাইসোপ্রোস্ট খেয়ে নেবে অবায়ু অশরীরীদের গর্ভপাত ঘটানোর জন্য , আমাদের ঙ চিহ্নের রাতের সব অযৌনগন্ধী পোকারা একটি পিরামিডে নিয়ে যায় যেখানে মৃত্যু বিষয়ক যুদ্ধের পর আমাদের বরফ খাওয়ার জন্য ,  ষষ্ঠ পরজন্মের কাটা মুণ্ডু নিয়ে সবাই হেঁটে যায় , আমাদের এখন একটি শীতল ফাস্ট ফিলাল বংশগতি প্রয়োজন তুতেনখামেনের মতো
 






নিমাই চাঁদ জানা 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন