আমিনুল ইসলাম



খাঁচার ভেতর

১১/০৪/২০২২




এক সুখের অন্তরাল ~
দুখের গভীরে~নিরিবিলি এই নিমজ্জন

সমুজ্জ্বল প্রদীপের শিখায় শুদ্ধ হয়~




সুগন্ধি আতরের আভাস~

অগণিত মানুষ, মানুষের পাশে
কখনও আবার নেই মানুষ হয়ে ~

রাক্ষসের রণকৌশলে গল্পটি
বয়ে নিয়ে চলেছে লাল পিঁপড়ের দল




মনের বাগানে স্পর্শেরা
নানান ফুলের আলতো সৌরভে~

রাখালের বাঁশি আনন্দের মেঠো-পথে
শুকনো চোখে মেঘ ঘনায়~

এমন কারোর জন্য কয়েক পংক্তির বিসর্জন




স্তব্ধ এই চরাচর
সচরাচর মন থেকে~
বারান্দায় ডানা মুড়ে বসে

বারান্দা সহজাতরূপেই বাকপটু
তার কথায়, চঞ্চলতায় চরাচর জাগে
ঘুমভাঙে বাতাসের~




ইন্দ্রিয়হীন ~ মৌরি ফুলের রাগে অন্ধ দেহ

শুধু মাটি আর জল
জল ও বাতাস মরুভূমিময়~

খেলনাগুলোর চাবি কোথায়?
কার কাছে রাখা মনের বিস্ময় 

কার হাতে গোপন ইশারার সূত্রপাত~




এ-সব তল্লাশ আমৃত্যু, এ-তল্লাট লাল~
কিছু হলুদ নিঝুম, শান্ত তারা দীপ্যমান

আর নিজের উপর অনাস্থা রেখে নিশ্চিন্ত জনগণ




সব ফুলের কথা লেখা কাঁটায়
এই নোংরা-আবর্জনা গন্ধে ভরা আলোয় ~

উদ্বাস্তু, নিজের শরীর ~
মোমের শিখাও এতো অন্ধকার!



জানা ছিল না বলেই ~
অচেনা সুদূরে উড়ে ছিল বাজ

তারপর প্রাগৈতিহাসিক
নখ ও ডানা বিলুপ্ত হবে জেনেই~

লাল রং অপেক্ষা!

এখন বাতাসে ভরপুর হাওয়াকল~




মুক্তির দিকে বিকশিত এই শৃঙ্খল!

হাতে-পায়ে, দেহ ও মনে
নিরুপায় লংকা বাঁটা

তবুতো ইচ্ছের পাখি
খোলা আকাশে ডানাদের আঁকতে বাধ্য হয় ~




১০

এই চাবি খেলনা বিক্রেতার কাছেই লুকোনো~

পুতুলগুলোর ইশারা অদ্ভুত সুন্দর
ইচ্ছের বিরুদ্ধে খেলে, কথা বলে
নানান সজ্জায় সেজে ওঠে ~
মনে হয় ওরা নিজেই নিজে আয়ত্ত করছে সব

চাবি ছাড়া ওদের জীবন আগুনহীন স্তব্ধ ~




১১

এই বন্দী একাদশের বাইরে একটা খেয়াঘাট
একটা পালতোলা আরামের নৌকা

একলা মেঘের আদর নিচ্ছে ~

জলরং অগুনতি পরীর কথায় ফুলগুলো প্রজ্জ্বলিত

লিংক স্পর্শ করে ওদের অবরোধ গড়ে তুলুন 

ওঠা পড়া নিরর্থ ঝকঝকে ইমিটেশন
হীরে-জহরতের খোজে পাখিদের গণবিলুপ্তি

এই উন্নয়নের হীরকসজ্জায়~

2 মন্তব্যসমূহ

  1. আপনার প্রতিটি কবিতা পড়লাম দাদা । অসাধারণ অসাধারণ সব কবিতা পড়ছি আজকাল দাদা

    উত্তরমুছুন
  2. একরাশ ভালোলাগা। অসাধারণ গুচ্ছ কবিতা।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন