তানিয়া হাসান-এর কবিতা




গতহওয়া ব্যক্তিত্ব 

ব্যক্তিকে গত করে গড়তে হয় যে গাম্ভীর্য  
সে মিহিফাল্গুনে ব্যক্তিগতের সুতো কই
স্থগিত ব্যবধানের বানিজ্যে 
আমরা তাই খেয়ে ফেলি ব্যক্তিত্ব

কুমারের গতরে বিবাহিত ঘ্রাণ
উর্বর করে রসুনের জমি
লাঙ্গলের চোয়াল জানেই না
কি ক্ষুধায় ভাতের হাঁড়ির হয়ে যায় ঝকমক

আপন ভাঁজে  পরপর  নেশায়
বন্ধা হয় যে ঋতু 
তার ভেন্টিলেটারে একতারা 
খুব চাঁদ মামা ডাকে
লাইটারগুলো মিছিল করে
হে সুন্দর! তুমি  আম্রপালি হও

বিধবা ঠোঁটে নাগরিকত্ব পাওয়ার 
তৃষ্ণায় অভিজাত সমুদ্র হয় দেউলিয়া 
ব্যক্তিটা তবুও দাঁড়িয়ে থাকে 
বিকলাঙ্গ সময়ে, ঘুণে খাওয়া গন্তব্যে  

গতহওয়া খয়েরী স্টেশন 
গুগলের গরিমায় বাজেয়াপ্ত  করে
একটা হালকা সকাল
আমরা পড়ি সোনালী নামতা




নাতিদীর্ঘ চমক

ভালো আছি বলতেই ভাবনারা খুলে যায় 
বউবউ দোলনে বিবাহিত স্পর্শ 
সীৎকার ভুলে অস্বীকার করে শুচিবাই সম্পর্ক
যেহেতু নাতিদীর্ঘ কুমারের ছলাৎ ছলাৎ 
মোমের চমকে  তাহার চোখে মালতী হওয়া হলোনা

আমরা খামিরেই উঠানামা করি
টুপটাপ লালায়  নকশী করে কাথা
শুক্রাণুর নজরে গর্ভবতী আমলকী সিঁদুর
না পড়লেও পিতা হয় থরথর প্রতিশ্রুতি 

তোমার আইবুড়ো শহরে জ্বলে যায় শীত
বিরহী উল তবুও খোলা রাখে বোতামের কারুকাজ
ভাসিয়ে না রেখেও ভেসে থাকে ঝিরঝির তলসমুদ্রে
অশ্লীল দুয়ারের যায় কলমের কদম

তাহাদের চোখে কোরধার্য করে পানিউন্নয়ন বোর্ড
স্বপ্নের দোষেও তারা বৃষ্টি হয়না
জিয়েল মাছগুলো ডিপফ্রিজে বলেই




তোয়ালের তোলপাড়

মোহনীয় বালিশ চোখের পাপড়ি চিনেনা বলেই
সুবেহ-সাদিক স্বপ্নের ভয়ে  লুকিয়ে রাখে আয়না
অবলা চিবুক ঢেকে রাখে তোয়ালের তান্ডব
কেটলির রস উপচে পড়ে 
এমন জলউচ্ছাসে লোমহোসবাগানে কিছুটা তোলপাড় হলেও  শুকিয়ে যায় মৌরি 

হয়ে যাওয়া জলে গ্লাস পূর্ণ হলে যেহেতু 
বেঁধেরাখা যায় না মেঘ
শরবতের ফিলোসোফি জানতে  ল্যাবে যাওয়া আপেক্ষিক 
এক উড়াল রিফ্রেশ না হয় একান্তের 
একান্ত নিকটে জমা হোক।

রুগ্নবাস্তবতায় আষাঢ়ি রোদে ঝলসে গিয়েছে যে তকদীর 
সমৃদ্ধ স্কিনে সে হেডলাইন হয়না
তবে ভস্মের ধোঁয়ায় হিমহিম হতেই পারে হিমালয়।
তাহারা আলোর ডেফিনেশন জানেনা 
মোমের কারিগরের গুপ্তধন ভাইরাল হয় আঙুলে দশসীমায় 
তেতো সকালের নির্যাস তারে মালতী বলেই ডাকে 
আনমনে পেয়ারাগুলো বিসর্গ ফুলে বিছানা রাঙায়

সে টিস্যুর ক্রেতা না হলেও সাদা-কালো ঘাম
বিপরীত নীতির কামেল হয়না
সমুদ্র ঈশ্বর বেমালুম বলেই যায়
তাহারে কর স্বরণ 
তবেই হবে একটা আঁশের পেয়ারি
আমরা ইরেজার দিবসের দোসর হয়ে
খুঁজে চলি কলমের আদিকথা




স্লিপিং পিলের শীৎকার

দোতালা এক্সপ্রেসে টিকটিকির শীৎকার 
মেঘ-মেঘ গন্ধে স্টার্ট না নিয়েও ফুরিয়ে যায় পথ
একটা চুলের বাঁধেই হিমালয় হয় না দেখা

স্লিপিং পিলে করধার্য না হলে
পুটিমাছ গুলো সমুদ্র সাঁতরাতেই পারতো 
উড়ে যেতো বাওবহর

তাহাদের বারান্দায় শনশন করে সুন্দর 
হেলে যাওয়া রাত আসে হিজাব পড়ে
তোশকের নিচে তাই লুকিয়ে রাখে চন্দ্রমুখীর গন্ধ

ব্রান্ডের হেন্ডওয়াশ ধুতে থাকার কালিমা পড়ে
নতজানু তাদের আক্রমন করেনা
সৌরভের সুনজর থাকায় 
উপসনালয়ের প্রথম সারিতে তারাই শ্রেষ্ঠ কর্তা

কাস্মীরী সালের ওমে আইসক্রিম চিবানো দাঁত
এমন মুখোশের ফিলোসোফি আওরায়
মায়েদের ম-খুলে যায়
তাহারাই শুধু হিংচিং খেলে থালাভরা 
পৃথিবীর রঙে

সানগ্লাসের বাজার চড়া হয়
চোখগুলো ভোগে নজরশূণ্যতায়
ছায়ার রাজ্যে তবু তুমিই হও বর্তমান





বিনীত স্পর্শ 

একটা শূন্য বিকেলের গর্ভেই
তুমি তোমাকে দেখতে চেয়েছিলে
বিনিময় কম্পনে চাষাবাদ 
করেছিলে বৈশাখী ভ্রুণ

দৃপ্ততা ভাসিয়ে দিয়ে বোকা পেয়ালায়
ঠোঁট বুলাতে বুলাতে
এমন সাপের চিবুকেই বন্ধক রাখলে কৌমার্য!

তোমারে খুব শরৎ ভাবতে ইচ্ছে হয় 
অথচ কাশফুলের স্পর্শে তুমি ভেঙে যাও
শোবারঘর পাশকাটিয়ে বাসনের ভাঁজে করো টগবগ 

জাতীয় পাখিগুলো ওম জানেনা
জানলে একটা তুমি জন্মাতেই পারতো
পরাণ পোড়ার ঘ্রাণে

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন