আফজল আলি




কেবলমাত্র প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য

চুমু আসলে অসম্পূর্ণ জাত , শেষ হয় না কখনও
তাই আদরের চিহ্নগুলোও প্রক্রিয়াকরণ হয়
তীব্র আবেগের পর যখন পাখি উড়ে যায়
অর্থাত আমি বলতে চাইলাম কতটা সচেতন হয়ে
আপনি ডুব দিচ্ছেন নিমগ্ন সাগরে
মাছ উভচর নয় , হাঁস উভচর
সঙ্গমের রীতিতে মাছের সাথে হাঁসের মেলে না
মানুষ কামকে অতিক্রম করবে বলে ধ্যানমগ্ন ছিল
শাস্ত্র মতে তাদের অত সোহাগ থাকেনি
নিদেনপক্ষে কামনার মেরুকরণ করতে গিয়ে
সতেজ থাকার প্রণালী খুঁজতে হয়েছে
সহজ পন্থার রতিক্রিয়ায় কতটা দীর্ঘস্থায়ী হওয়া যায়
কোষের মধ্যেও তো প্রভাব পড়ছে উৎকৃষ্টের
সংবেদন মেধাতন্ত্রে ভাসা চোখ,  ডাগর চাউনি
নিত্য জড়িয়ে ধরার এ কোন  অঙ্গহানী 




Essential

ব্যথায় গুলি মারো , তুমিও দেখি পেট্রোল নিয়েছ
চলো আগুন জ্বালাই
শিয়ালদহ পার হয়ে দমদম , তারপর আরও ওদিকে
আকাশ ফুটো করে ঢুকে যাব , ক্লান্তির পিঠে খুচলি হোক
নরম রোদের বজ্র বিদ্যুৎ
আগত স্বপ্নের মালিকানায় রেশমি কদম
আর এক অজানার শিলান্যাস করি ,  এহি হে জিন্দেগি
চিন্তার কপালে ভাঁজ নেই , প্রশস্ত সরগম
গতি চিহ্নের ঘোড়া মস্তিবাজ ভীষণ , নিমগ্নে ছোটে
সামনের ফাল্গুনেই essential হবে , নিয়তি ALTO car
এখন পারদ , তোমাকে চাই , পর্যাপ্ত অমাবস্যা
এই অন্ধকারে ভীষণ ভালো লাগে একমুখী হয়ে যাই
ওখানে কি ব্যস্ত তোমার জানালা
মোবাইল টাওয়ার locate করে
ভরসার পাশে আদি শিল্প কলা , এ তো নয় অভিনয়




শীত চলে এসেছে

শীত চলে এসেছে , এবার কুয়াশার সাথে কথা বলা যাবে
একটা মনখারাপ আমার সাথে হাঁটে
বুঝে গেছি এটা সারা জীবনের রোগ
প্রতিদিন একটু একটু করে সময় হারাচ্ছি
তবু আমি ভীষণ রোমান্টিক থাকতে চাই
সরল উচ্চারণের কবিতাগুলো আমাকে লিখে যেতে হবে
আমার চারপাশের মানুষগুলো সেই একই রয়ে গেছে
ওদের দেখলে মনে হয় আমিও সেই এক আছি
মনের কাছে বয়স হয়তো উধাও হয়ে যায়
হয়তো বা এসে ভিড় করে
ভরপুর সংসারী হয়েও আমি এত আনমনা এত উদাসী
পর্যবেক্ষণ গুনতে গুনতে আবার সন্ধ্যা নামে
সন্ধ্যার কাছে খুলে রাখতে চাই সব হিসাব
কারণ রাত হলে আবার বেদখল হয়ে পড়ি , পুনরায় জীবন
পুনরায় শুরু হয় আর একটা দিনের জন্য শক্তি সঞ্চয়
তখন কুয়াশা আসে জানালায়,  কিন্ত পর্দা খুলতে পারি না




অগ্রাধিকার

একটা কবিতা কীভাবে শুরু হবে বিতর্ক চলছিল এই নিয়ে
কারণ একটা কচ্ছপ দৌড় শুরু করেনি ,খরগোশ বসে ছিল
পানপাতা নিয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছিল চাষিদের
ওরা জানত জীবন কাকে ছিটকে দেয় ,কাকে করে রাখে আপন
অবহেলারও কিছু ব্যতিক্রম থাকে
তা হোক কী করছ বলো এখন
কতদিন যে কথা বলিনি ভালো করে ,মনে আছে সেই সব দিনগুলো
শীত আমাকে প্রবলভাবে অকেজো করে দেয়
কম্বল , জ্যাকেট ,মাফলার কত কী চাপাতে হয় গায়ে
যেন একটা ঠান্ডা যুদ্ধ
ট্রেন এ বসে আছি এখন
সামনের লোকটিকে দেখলেই কেমন irritation হচ্ছে
কিন্ত কেন
কবিতা নিয়ে বিতর্কের মাঝেই অন্য প্রসঙ্গ ঢুকে গেল
ইদানীং কিছু ভালো লাগছে না
কারণ আমার সমস্ত চাওয়াগুলো ছেঁটে ফেলছে কেউ একজন

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন