নীলোৎপল গুপ্ত





স্বয়ম্ভূ কবিতার খাতা

হয়তো বা কিছু স্পর্শ ভুলে যাওয়া ভাল
এভাবেই ফুল ঝরে নির্বাক পাথরে।

বাতাস প্রস্থান লেখে শিউলিশাখায়
তৈলচিত্রের থেকে মুছে যায় রঙ।

নাটকের শেষদৃশ্যে যুগপৎ আলো-অন্ধকার
মধ্যরাতের ট্রেন বেঁকে যায় মৃত্যুর দিকে।

দিন ও রাতের চক্রে মুহূর্মুহু অভিকর্ষ টান
ঘুমন্ত বেড়ালের গায়ে পাঁচিলের ছায়া।

ভাঙা-চুম্বনের ফাটলে উড়ে উড়ে বসছে ফড়িং
পুনর্জন্মের গায়ে ঘনীভূত ভোরের শিশির।

চতুর্দশীর চাঁদ দ্বিখণ্ডিত জানলার গ্রিলে
বিদ্যুতে পুড়ে যাচ্ছে সয়ম্ভূ কবিতার খাতা।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন