আমিনুল ইসলাম-এর কবিতা
Massless magic
১.
বৃষ্টির ভেতর গভীর জল সেঁধিয়ে যায়
তুলোর ভেতর তন্তু; আর ডানার ওমে
স্নিগ্ধ সেতার যেন ঝরছে...
মরমি আমার বহুদূর পলাতক; ছায়ায় ঘেরা হাওয়ার আস্তানা
ততোদূর পাখিরাও ঘোরেফেরে হারায়
ততোধিক ধর্মবিচ্যুত হই আমি; যতদূর ছড়ায়
ভালোবাসা আহা!...
বৃষ্টির নেশায় ছড়ানো দানায় হারানো চোখ
সব একত্রে উবে যেতে চায়, বকেয়া স্বাধীনতা ছিনিয়ে বাজ বুঁদ, তীরন্দাজের নেশায়
কপুর উবে যেতে যেতে শূন্য পেয়ালায় অবশিষ্টাংশ ছলাৎ
কিছু অপভ্রংশের মৃত্যু কামনায়
আবার চোখ মেলি; ভরহীন আমি মগ্ন হই...
২.
আয়নার সামনে আর একটি আয়নাকে বসিয়ে দিলে ভেতর ভেতর টুকরো হয়
দুমড়ে মুচড়ে সলতে পাকিয়ে ওঠে ধোঁয়া
ধূম্র পান করি, মগজে সন্ধ্যা নামে ধূপের ছায়ায় পাকদন্ডী আশ্রয়
হাঁটতে হাঁটতে অন্যমনষ্ক-পা; জলের ধারে এগিয়ে আসে
নিরাভরণ
নির্নিমেষ বরফ! জলের ঘুমন্ত দশা গ্লাসে ভাসে
কাগজের নৌকায় দুলে ওঠে অবয়ব
আমি ফুরিয়ে যায়!...
৩.
তার জন্য অপেক্ষা বসে ছিল
কাকের পিঠে ঢলে পড়েছিল রোদ
রোদের আলোয় জানালা ম ম ...
ভেতর ভেতর পুড়ে যাওয়া!
ভাঙতে ভাঙতে উদ্বায়ী; পরমাণু থেকে চেনা জানা
সূক্ষ্ম সূঁচাগ্রে আবার জিন্দা হই
লাশের জাগরণ! গুড়ো গুড়ো হাড় হিম!
রক্তের ফোয়ারা নেচে ওঠে
বন্দেগি কার কাছে হবে সমর্পণ!
আজনবি ছায়ার পিছু পিছু
কয়েক জোড়া শব্দ...
৪.
ওড়ার প্রত্যাশায় পালক; আবার কখন যে তুলো!
বাতাসের সখ্য সুতীব্র যন্ত্রণা
লালন-পালন; পাঁজরে লুকোনো গিঁট অন্তর্যামী ছুঁয়েছিল
তখন আমার বয়স একটা মুরগির হালাল
বেহেশতের দরগাহ জান্নাতুল ফেরদৌস
আমার কামনা শুধু মানুষ হওয়া
হালকা হতে হতে উড়ন্ত বাতাস...
৫.
কাগজের ডানা কাগজের মেঘ আর কাগজের হাওয়া
হঠাৎ ফুরফুর ...
এ যে কী আনন্দ! জলের উপর ভাসান
নৌকোর কানে ফিসফিস...
দ্রবণে অস্পষ্ট ছবির জীবন
চিরকুট লেখা চিরন্তন সমাধির পাশে
ভরহীন এক ছায়ার কা-পুরুষ!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন