তানিয়া হাসানের  কবিতা

ভানের বায়োগ্রাফ 



এখন আর তখনের চায়ের আড্ডা

জমেও জমলো না অপেক্ষার ধোঁয়াশায়

ঘুমিয়ে জেগে থাকা আর জেগে ঘুমানোর  

সূত্র জানলেও  ভানের বায়োগ্রাফি অজানা!


ভুলে গিয়ে মনে রাখা আর মনে রেখে ভুলে থাকার

অটোগ্রাফ জানালার  পাশে রবিঠাকুরের  

আঙ্গুল ম্যাসেজ করলেও  ফটোগ্রাফটা ফিকে।


আরশোলার  ঠোঁটে চুমু খেয়ে

অমলকান্তি  রোদ্দুর হতে চাইতেই পারে   

তবে চান্দুর জোসনা ছুঁতে যাওয়ার 

মাঝে কিছুটা খটকা থেকে যায়।


দাত থাকলে পাহাড় চিবানো জরুরী নয় 

তবে চোখ থাকলে  ঝর্ণার কাজল পড়তেই হবে , 

এ বিষয়ে  ১৪৪ ধারা মানার নীতি নাই


একুরিয়ামের জলে শরৎ পুষে  

বর্জ্য ফেরি করতেই পারেন,

মায়া এ কারণে অন্বেষণ করবে না।



ধুরন্ধর পূর্ণিমা 


ঝাউবনে ধুরন্ধর পূর্ণিমাখেলা জোনাক   ঢঙে 

গ্যালারি কাঁপলেও করতল আপন কোলে।

ঘাসফুল হুঁশিয়ার, 

জোসনা খেয়ে মাতাল হয়নি শিশির

পেঁচার আশীর্বাদে  রাত  অট্টহাসে ভাঙা ভাঙা  কামনায়

কবুতরের চশমার ফাঁকে চিল 

গম্ভীর মেঘের নায়ে 

ভাসতে চায়, ভেসেই যায়,গা-ভেজাবে না বলেই

বন্ধ্যা স্রোতে ঝরে যায় বৈঠাহীন বকেয়া

চাঁদ চেনেনি বলেই টিকটিকি ল্যাম্পপোস্টের পূজারী

ভেন্টিলেটরে পৃথিবী দেখে 

আস্থাভোজী হয়ে শূন্যে সূত্র খোঁজে 

নির্লজ্জ  তারার অপেক্ষায়....



অবান্তর প্রশ্ন 


সিংহের কপালে চুমু খেয়েছিলেন বলেই 

সে আপনার চোখে ডুব দেয় 

মুখে মাখে লেজে ওড়ায়

তার দাড়ির ভাঁজ, ধারালো দাঁতের সান চিনেন

অন্তস্থলের ঢেউ জানেন কি?

নখের নামে বসন্ত কিনে বাদলবেলায়

একগ্লাস  স্যালাইন তৈরি করেন উচ্ছিষ্ট লালায়

জলশূন্যতায় ভুগেন 

জলশূকরের অপেক্ষায় 

গান্ধিপোকার কাছে প্রশ্ন করেন 

আপনি কি বোকা?

সজারুর পিঠে মিথ্যা মুছে  

সাদা ক্যানভাসে আঁকেন শান্তির নিশান

রাতের আরশিতে ওড়না বন্ধক রেখে

শুদ্ধ সকাল দেখতে চান 

সাপের বুকে নাক ঘষে প্রশ্ন করেন

আপনি কি বোকা?







Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন