প্রেমিকেরা সব বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলো। আমি ডেবিট ক্রেডিট শেখার পর থেকে ফুল আর বোঁটার বার্ষিক রিপোর্ট বানাতে বানাতে বানাতে পঁচে যাচ্ছি। এক প্রেমিক তার উদ্ভিদবিদ্যা শেখার জ্ঞান নিয়ে এসব হিসাব দেখেছিলো
এরপর...
সে ফুলেদের নতুন অ্যানাটমিতে থিসিস লিখতে লিখতে—
তার বিজ্ঞান আর আমার হিসাবের মাঝে কলম ক্যালকুলেটর ভেঙে খানখান!
পুরনো হিসাব ঘেটে ঘেটে দেখলাম, আত্মা পাঁজর ভেঙে যাওয়ার কোনো অর্থোপেডিস্ট ছিলো না কোনোকালে। খতিয়ান ভরে ছিলো এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতির বিবরণে। যেনো বিচ্ছিন্ন বোঁটার হাড়, ফুলের মজ্জাকে আর চিনতে পারেনি
তারপরেও!
সেই উদ্ভিদবিশারদ প্রেমিকের থিসিসে তালিম
নিয়ে—
আত্মার হাতুড়ি বিদ্যা শিখে যাচ্ছি সুগন্ধি শপথে।।।
২.
দশ দুগুণে একুশ
তুমি-ভর্তি ছায়ায় আছে এই ফ্যাসিস্ট ভূমি
এ ভূমি যেনো এভাবে আরবের কালোতম সংসার
হজ্ব যাত্রীর মতো দৌঁড়ায় সব কৃতঘ্ন নাগরিক
এই ছায়াশরীফেই আলোচূর্ণ ফরজ
আর আমারো ছিলো দুদণ্ড নির্বাণ মোনাজাত।
এরকম ছায়াভুখা ফরজ পালনকারীদের,
পায়ের তলে পিষ্ট হচ্ছে নির্লোভ কুকুর নফস!
এইসব পেষণে
মোনাজাতের দস্যি আঙুল
দশ থেকে একুশ কঙ্কর মিসাইল।
তুমি-ভর্তি যে ছায়া অতি নির্বোধ
ছুটে তারই ত্রিবিচ্ছেদ জামারায়!
যদিও
এখানে
আমার ওয়াজিবটাও ফরজ পালনকারীদের নেকির খাতায় চলে যাচ্ছে।।।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন