এয়ার কণ্ডিসানড দেবতা
এ এক ভয়ঙ্কর নৈঃশব্দের রাজ্যে ভাসমান আমাদের ভেলা
দেখা যায় উপকূল বরাবর শত শত মৃতদেহ পড়ে থাকে
দীর্ঘকাল রোদে পুড়ে আকৃতি বিকট
যার প্রাণ একদিন কম্পিত হয়েছিল
দুঃখে সুখে তড়িৎ প্রবাহে
যার প্রাণ একদিন কম্পিত হতে হতে
বাসনা থেকে বাসনায়
ছুটেছিল অই প্রাণ
এ এক ভয়ঙ্কর নৈঃশব্দের মধ্যে ভাসমান আমাদের ভেলা
মাথার উপরে তপ্ত সূর্যালোক
নদীতে সোনালী রং ডানদিকে
সবুজ গালিচাপাতা চর জেগে থাকে
একটা ন্যাংটা লোক অই চরে একা বসে আছে
ভেলা দেখে ঝাঁপ দেয় জলে
প্রবল ঢেউয়ের ঘায়ে ভেসে যেতে যেতে হাত নাড়ে
যেন কিছু বলতে চায়
প্রবল স্রোতের টানে কোথায় তলিয়ে যায় কে জানে
আধ টিন বিস্কুট কিছু ধুতি শাড়ি নিয়ে
ছোটো এই ভেলা ভেসে চলে
অন্ধকার হলঘর
নাকে ল্যাভেণ্ডারের গন্ধ
অজস্র মানুষ আপনজনের মৃতদেহ মাড়িয়ে চলে আসছে
এক মুঠো অন্নের প্রত্যাশায় ঝাঁপিয়ে পড়ে
নিজেদের মধ্যে কাড়াকাড়ি করে
মরে
বিদ্যুতের আলোয় শত শত অশরীরী প্রাণী
যদিও সাহায্যের পরিমাণ পর্যাপ্ত নয়
যানবাহনের নিদারুণ অভাব
আর কর্তৃপক্ষ কখনই দুর্গত অঞ্চলে পৌঁছোবার
কোনো উপায় খুঁজে পান না
খননকারীর অভাবে এক থেকে দেড়হাজার পর্যন্ত
একটা গর্তেই কবর দেওয়া হলো হুজুর
মজুরি ছিল সারাদিন দুটাকা
খবরে আরও প্রকাশ ভুতনাথের বাড়ির চারটে লোক
ঘুমন্ত অবস্হায় বাড়ি ধ্বসে মারা গেল
তার অবস্হা সামান্য হলেও অই
ছোট্ট বাড়িখানিতে সুখের কমতি ছিল না
আজ খোলা আকাশের নিচে সামান্য ট্রাক ড্রাইভার ভুতনাথ
হাঁটুতে মাথা গুঁজে বসে আছে
এস. ডি. ও. জানিয়েছেন ।
দরিদ্র সাহায্য তহবিল থেকে ২০টি টাকাও আজ নয় কারণ
আলমারির চাবি যার কাছে তিনি আজ অফিসে আসেননি
আকাশে শকুনের ভিড়…দূষিত আবহাওয়া…বিশতলা টাওয়ারের ওপর বেড়ার…
ঘুর্ণিঝড়ের সংকেত…এইমাত্র রিলিফের নৌকো লুঠ হলো…
যেখানে মৃত্যু নেই সেখানে পুলিশ এসে হানা দেয়…৩৪ নে জাতীয় সড়কটি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে…
সাহায্য ফেলার মতো এক টুকরোও জমি নেই…রানওয়েতে একটা পাগলি থালা বাজিয়ে গান গাইছে…
রাজধানির পাশেই বসানো হবে ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাটি…ক্ষিপ্রপদ কেউ হোটেলের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েছেন…
কারোর মাথার খুলি ফুটো করে পাওয়া গেছে বুলেট…বিদ্রোহীদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠের বয়স ছিল আট বছর…
আমাদের ক্ষণিক মনুষ্যত্ব আর চিরকালের জন্য কান্নাকাটি করে না…নরম মাটিতে ডুবে যাচ্ছে…
এখন রিং-এর মধ্যে দুটো বাইসনের পরস্পর যৌনসংঘর্ষ…করাল শব্দের আবর্জনা…
পোষা শুয়ারের বাচ্চা হিসি করে দিয়েছে সুন্দরীর নাইলনে…
পাটখেত থেকে মৃত শিশু কোলে আমাদের মাতা বেরিয়ে এলেন…
কয়েকটি নাইলনের শায়াই হয়তো অগ্নিকাণ্ডের কারণ…আকাশে শকুনের ভিড়…
সব সভ্যতার আলমারিতেই কয়েকটি কঙ্কাল তুলে রাখা আছে…
শকুনের রঙ্গে রিলিফ বিমানের প্রপেলারের ধাক্কা লেগে গেছে…
দূরে একটা পাগলি থালা বাজিয়ে গান গাইছে…এবার ওটাও মরবে…
আমি দুহাত দিয়ে ঢেকে রেখেছি কান…আমি বাইরের কোনো শব্দ আর শুনতে পাই না…
আমি দুহাত দিয়ে ঢেকে রেখেছি আমার কান…
আমি নিজের উচ্চারিত শব্দও আর শুনতে পাচ্ছি না…সুতরাং মৃত্যু…
তুমি স্নান করতে গিয়ে জল দেখেছ পীতবর্ণ…তুমি স্হির জলে দেখেছ তোমার ছায়া মস্কহীন…
তোমার মুখমণ্ডলে বস্ত্রে গাত্রে সর্বদাই শবগন্ধ নির্গত হয়…সুতরাং মৃত্যু মৃত্যু মৃত্যু…
মৃতদের মধ্যে আমি পরিত্যক্ত…নীচতম গহ্বরে আমাকে ফেলে রাখা হয়েছে…
স্বজনের কাছ থেকে আমাকে দূরে রেখেছো…আমার বেরিয়ে আসার ক্ষমতা নেই…
তুমি কি মৃতদের পক্ষে আশ্চর্য ক্রিয়া করবে…প্রেতরা কি উঠে এসে তোমার স্তবগান করবে…
কবরের মধ্যে তোমার দয়া কি মৃতরা অনুভব করে…অন্ধকারেই কি তোমার আশ্চর্য ক্রিয়া দেখা যায়…
এই বিস্মৃতির দেশে তোমার ধর্ম কি কখনো জানা যাবে…আমাদের মাংসের স্বাস্হ্য নাই…
আমাদের অস্হিতে শান্তি নাই…ত্রাস আমাদের উচ্ছেদ করেছে…এখন সকলেই মুখ মোছে আর বলে…
আমি কি কোনো অধর্ম করিনি…
বাসুদেব দাশগুপ্ত
'লেনি ব্রুস ও গোপাল ভাঁড়'-এর অংশ
…..প্রায়ই আমার পাশে বসে হরিকিষেণের বৌ কুঁচকি পর্যন্ত কাপড় তুলে দলাই মলাই করে স্নান করত।…….
….এদিক ওদিক তাকিয়ে অবশেষে জানালা দিয়ে মুখ বাড়াতেই দেখি পাঠশালারই এক বেঞ্চে হরকিষণ তার কালো মোটা ধুমসি বৌটাকে ঠেসে ফেলে ঘোঁৎ ঘোঁৎ শব্দে সঙ্গমে রত…….
……সুমিতা তখন দু’হাত পিছনে দিয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়েছিল, যেন কিছু কঠিন শাস্তি দেবে আমায়-এমন ভাবখানা। পিঠের বেণী বুকের দুই স্তনের, হ্যাঁ, অর্ধস্ফুট দুই স্তনের মাঝখান দিয়ে ঝুলে পড়ে, দুলতে থাকে শূন্যে, মৃদু বাতাসে। সুমিতা আরও ঝুঁকে আসে……
…..আমার মেয়েছেলে চাই
আমার একমিনিটে চাই
আমার দুই বগলে চাই
মাগীর ডাসা দুটো মাই
মাগীর তুলে দুটো ঠ্যাং
বগল বাজাব ড্যাং ড্যাং
চা-চা চাই, চা-চাই-চাই
ইচ্ছা ইছাই চা চাই চাই
তা তা তা ধিন তা তা।………
……..কুমুদ পাছায় এক ঠোক্কর মেরে বলে—এসব কি নক্সা হচ্ছে? চল, ঘরে চল। আমি টলতে টলতে উঠে দাঁড়াই।…….দীপ্তির আঁচল সরিয়ে দেয় ওরা, খুলে দেয় ব্লাউজ বডিস। ঢাউস বেগুনের মতাে শাদা ধপধপে দুই স্তন ফেটে বেরােয়। ওরা লােফালুফি খেলে, পাছায় চিমটি কাটে। কাপড়ের মধ্যে দিয়ে হাত চালিয়ে দেয়। দীপ্তি বিরক্ত হয়ে বলে—“আই, আই। হচ্ছে কি? যাও সব বাইরে যাও। একে একে হােক।………
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন