নামগোত্রহীন

রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়


১)
আদরের সময়ে কারা যেন হাসছে অথচ স্থির ল্যান্ডস্কেপ থেকে নেমে আসছে প্রলম্বিত কান্না এবং পরবর্তী দৃশ্য গ্রে হাউন্ডটার অণ্ডকোষকে মৃত ঘোষণা করেছে বিজ্ঞাপন তবুও বিক্রি হচ্ছে কন্ডোম পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে রিভলভারের চিৎকারে সেইসব আদরের গায়ে জমছে লবনস্তর সব কেলো হয়ে গেল তবুও কেলেঙ্কারির ভিতরেই ডুবসাঁতার আর থামলেই অতলডুব আহারে, লাবডুব, 

২)
নদীমাতৃক ভ্রমণের শেষে ঢেউগোধুলিতে উড়ছে পাল হাওয়ায় হাওয়ায় রি-প্রিন্ট হচ্ছে হাওয়াবদল মাংসজীবন ছেড়ে মাংসপিন্ডর দিকে জাহাজ ভাঙছে তো ভাঙছেই তিনভাগ জল সাদা ক্যাপ্টেনচোখে নরম জঙ্গল ঢাকা একভাগ বদ্বীপডাঙা যৌবন ভাটিয়ালি হয়ে যায়, মন মাঝিরে......

৩)
পবিত্র ও নির্মল হোক হীনবিষাদ নাতিশীতোষ্ণ চৌকো মফস্বল এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে আমার সচেতন যৌনাঙ্গের শান্ত ছায়া পড়ুক যেরকম মেঘ সেক্টর ফাইভের জুলাইআকাশে, 

৪)
পুরোনো ফেঞ্চির ঢিলে হয়ে যাওয়া ইলাস্টিকদুপুর আমার নগ্নতাকে দ্বিধাহীন স্বীকার করে দৈন্যতাকেও অথচ ধন্যবাদজ্ঞাপন ছাড়া আর কীই বা করার আছে যখন বিড়িপোড়া জিভ খোঁজে অন্য কোনও সহজলভ্য লালাজিভ ক্যাসুয়ালি পেয়েও যায় ঘামগৃহস্থালির ভিতর বহুদিন সেভাবে বৃষ্টিহয় না,

৫)
সমস্ত স্পার্ম নিয়ে ছুটে চলেছি শার্টট্রাউজার্স আড়াল পৌরুষ নিয়ে পৃথিবীর আদিমতম জঙ্গল মাদোল দ্রিমি দ্রিমি রিদম্ টিল দ্য এন্ড চোখ থেকে রঙিন সানগ্লাস নামিয়ে অপেক্ষায় থাকব মিডল্ ক্লাস অর্গাজম, মুখোশভাসান, 

৬)
কারও মৃত্যু নেই এখানে আমিষআদরে দৃঢ় হয় গাছ স্যাঁতস্যাঁতে ছায়া জড়ো হয় সারাদিন গরিব কাঠকুড়ুনিরা উপোসি অভুক্ত ধারালো ধাতব করাত স-মিল চিড়ে যাওয়া কাঠের আর্তনাদগুলো আল্টিমেটলি গোলাপি কার্লন ঢাকা ছয়বাইসাত ডিভান যদিও এসবই টুওয়ার্ডস বেঁচেবত্তে থাকা যথারীতি সামনে অণ্ডকোষ পেছনে নিজস্ব নারী নিয়ে বাইকের এইট্টি স্পিডের সাথে লম্বা বিকেলে, অথবা যখন্তখন,

৭)
অতঃপর শহরভ্রমণ শেষে শান্ত এ্যাক্যুরিয়াম তোমার সুসজ্জিত গভীরতায় রঙিন মাছেদের গতিরেখা ধরে সমূহ উদ্ভাসচিহ্ন আঁকতে আঁকতে ক্রমশ তাহাদেরই আর্দ্রপ্রাণ আমি ক্ষুদার্ত ডুবুরি তোমার গভীরতম জল ও জঙ্গলপ্রদেশে ভীষণ ক্লান্তিবোধ, 

৮)
কবিতা পড়িনি কতদিইইন হল চাবুকটাতে ধুলো জমেছে দেখছি কিভাবে কর্পূর হয়ে যাচ্ছে গনশিড়দাঁড়া তবুও বুকে ব্যাথা নিয়ে কতবার উঠছি নামছি সিঁড়ি ভাঙা অঙ্ক ধরে এবং এইসব ওঠানামার মাঝেই কখন যেন রঙ বদলে নিচ্ছে পাড়াতুতো ধর্ষণগুলো আপাতত হিসি আর এই ধর্ষণ ব্যাতিরেকে অব্যবহৃত যাবতীয় শিশ্ন উপেক্ষা করছি শব্দশরীর শরীরীচিহ্ন যা কিছু আপাত সুস্থ অতঃপর পড়ে আছে ডায়েরির সাদা পাতা সাদা ক্যানভাস মিছিলের শান্ত মোম গলে যাচ্ছে সব আ্যটোমিক বোম,

৯)
শালা খুচরো পয়সায় মাসকাবার হয় আজও কন্ডোম কেনার আগে পকেটে হাত ঢুকিয়ে ভাবতে হয় দুবার আজও শীততাপ নিয়ন্ত্রিত নই.......কোনদিন যদি হই চোরকাঁটা ওই শাড়ির ভাঁজে দুষ্টু......কে বে বাড়তি ভাঁজছে.....ঝিমোনো অঙ্গে জাপানিরা তেল ঢেলেছে বুঝি.... 

হলুদ্দিনের শেষে আধপেটা ঘরে ফিরে রুটি আছে রুটি......

১০)
এখন মাত্র একটা ওভামের দিকে ছুটে যাবে লক্ষকোটি স্পার্ম ব্ল্যাকহোলের জোরালো মাধ্যাকর্ষণের ভিতর বেড়ে উঠবে আরও কয়েকটা কুত্তার বাচ্চা একদিন খসে পড়বে সুসভ্য গনতন্ত্রের নরম বিছানায় আর ঠিক সেইসময় একটা নিঃসঙ্গ উল্কা পৃথিবীর খুব কাছে এসেও একছুটে পালিয়ে যাবে তার নির্দিষ্ট প্যারাবলিক পথ ধরে কেননা রাস্তাঘাটঅলিগলিতে তখন কিলবিল করছে অসংখ্য না-বালকবালিকা কুকুর তারা পায়ে পায়ে ঘুরছে অত্যুন্নত হোমোস্যাপিয়েন্সদের পা চেটেচেটে কোনওনাকোনওদিন প্রাপ্তবয়স্ক হবেই তারা তাদের নিষ্পাপ লালায় বহন করবে জলাতঙ্কের জীবাণু এবং মধ্যরাত্রে যাবতীয় সুখীদাম্পত্যঘুম চিড়ে সি-সার্প-এ কেঁদে উঠবে সব ভালোমানুষ নিপাট ভদ্রলোক কবিরা যাদের অত্যন্ত সাধু ভাষায় আঁকা কবিতার বই মোলায়েম প্রচ্ছদে অফসেট প্রিন্টিং-এর কাজ চলছে প্রেসে তারপর পুরস্কার্রটুস্কার দাঁতকেলিয়ে
হাসতেহাসিতেহেসেহেসে কবিতাপাঠকবিসভা ইত্যাদিত্যাদি কুকুররা কবিতালেখেনাপড়েনা এ ব্যাপারটি কি কনফার্ম...

১১)
যেমন শব্দহীন পাখিমৃত্যু আকাশ নামক প্রকাণ্ড জিরোর গায়ে লেপ্টে থাকা মে দুপুর ভাঙা উড়ালপুল আহা সৌন্দর্য দীঘাসৈকতে ঝাউবন সবুজ ছায়ায় শুয়োরের বাচ্চাগুলোর হীন নড়াচড়া শেষ অবধি সারাটা ঘুম্রাত জুড়ে সিগমুন্ডফ্রয়েড,

১২)
সামার ভ্যাকেশান পেরিয়ে ছুঁয়েছি মেঘশরীর মোমআর্দ্রতায় কোরাসে প্রোটোপ্লাজম-এর গান গাইছে আলজিভহীন মৃদু স্পর্শগুলো আদিগন্ত বর্ষায় বৃষ্টির বিকল্পে ঝরছে গ্রানাইট অর্থাৎ ভিজে যাওয়া মানেই নীল কালশিট ভিজতে ভিজতেই গোপন রক্তক্ষরণ মিলনে, অবকাশে,

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন