গাছ
মন্দিরা ঘোষ
এভাবেই ধ্বংসের কাছে ব্যতিক্রম লিখে রাখো।
তোমার শরীরগান,পাতার অতীন্দ্রিয় আলো,
স্ফুটনের অধিকার নিয়ে ঝড়ের ঔদ্ধত্যে এঁকেছো আলিঙ্গন।
তোমার কোল ঘেঁষে যে তরুণ সকাল জীবিকার গায়ে
ফুল তুলেছিলো, কোনো ফুল্লরার ধৈর্য নিয়ে একা একা
অপেক্ষা বিলি করেছিল কল্লোলিনী রাত,
তুমিই তো ছিলে সেদিন!
ছায়ার গ্রাম এঁকেছিলে আশ্রয়ে, আশার রং ঢেলেছিলে
সিঁথির উপহাসে।হিমের ডানায় উড়ান লিখে পালকে
জুড়েছিলে মায়ার সংলাপ।
আড়ালের সাক্ষ্য থেকে মুছে গ্যাছে পালকের দেশ ।
কোটরের আলোয় ডুবে থাকা শাবকের চোখে যে
অনাথ আকাশ বিঁধে গ্যাছে,মেঘের তানপুরায়
কান্নার বেসুরো অন্তরা ভেঙে পড়ছে সেখানে
তোমার অদৃশ্য রক্তমাখা ডালপালা শেষ সান্ত্বনা
খুঁজে দিতে অনুনয় লিখছে ধুলোয়।
তোমার সবুজ আশ্বাসের আলুথালু রং কি
রোদ ডেকে দেবে এই ভঙ্গুর অনুবাদে!
আশার টীকায় শব্দরা দিশেহারা। শাদা পাতায়
ঘুমিয়ে পড়ছে আগামীর ক্লান্তি।আবারও কি
বেঁকে যাওয়া পিঠ আলোর অভিমূখ খুঁজে নেবে!
কচি পাতার ঝিলিকে মুখরা হবে ভোর!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন