কোরক
মন্দিরা ঘোষ

এখন ছায়ারা দীর্ঘ খুব। দিন শেষে হেঁটে যায় আগে আগে।
ঝিঁঝিঁ পোকার স্তব শুরু হবে  কুসুমরঙ মুছে গেলে।
কে যেন তৈরি  এখন তুলি হাতে শেষ আচঁরে ফুটিয়ে  তুলবে
 হারিয়ে যাওয়া শালফুলের  আহ্লাদ।
এমন তো হবার কথা নয়!
থমকে যাওয়া জলসার শ্রাবণীসুর  কখন বাল্য অপেক্ষায়
 হাতবদলের গান খুঁজে  নিতে উৎসুক!
তোর পালটে যাওয়া অভিমানে কোথাও আমি শব্দ নেই।
তীব্র হয়েছিলি একদিন লালধুলোর লণ্ঠন জ্বেলে।
সাইকেলের পাতা উলটে ফাঁকা হয়েছিল তোর বুকের 
অনুভূমিক মাঠ।
পাশ দিয়ে পেরিয়ে যাওয়া সেই মেয়েটির ফ্রকের ছিটেই
চোখ জ্বালা জ্বালা অন্ধকার নেমেছিল দিনের কোটরে।
আসবি কী আবার সেই চেনা বৃষ্টির  কবিতায়!
"দুজনে মুখোমুখি গভীর দুখে দুখী
আকাশে জল ঝরে অনিবার....."
কী শিরোনাম দিবি সেই কবিতার!
আমিও গিটার খুলেছি বুকে!
কোমল গান্ধারে নামিয়ে দিয়েছি ধৈবতের ঝালা।
আঙুল হারানো বিকেলে টুপ টুপ বৃষ্টিগানে মুখরা 
সন্ধের ঝালর।
এখনো কি লুকোনো  আছে তোর মুঠোয়
কোরকের স্বপ্নগুলি!

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন