ডবল আত্মহত্যা রহস্য
বিশ্বজিৎ দাস
১.
বিষ মুখে ছুটে আসে সুজাতা
ফেনায় গন্ধ খুব
বাড়ির কোনায় শুয়ে পড়ে; ছটফট
তখনও ভাঙেনি ঘুম, শিশুটির
সে জানে না; মা এ রাতে
হয়েছে খুন! কী সত্যি? নাকি আত্মহত্যা?
২.
গ্যাঁজাভরা উচ্চারণ যেন সমস্ত শরীর ছিঁড়ে
আসে ভাষা, আসে শেষ অনুরাগ
জীবনের প্রতি;
তারপর, দেহপাখি গেছে উড়ে নীলে
শোয়ানো রয়েছে তাকে, সন্তান হারিয়ে
বিবর্ণ মুখের নীচে কাঁদে যে বাবা-মা...
৩.
পুলিশ এসেছে সুজাতার দেহ নিতে
ময়নাতদন্তের জন্য মেডিক্যাল টিম
গঠিত হলেও মাঝপথে
নাবালক
আইনের কাছে
একটা কালো রুমাল ছাড়া কিছুই নেই
৪.
দেবরাজ তার নাম। শিশুটি বোঝেনি
মা চলে যাচ্ছে,
শ্মশানের ভিতরে কাঠে;
আগুনের তাপে ধূর্ত জলাশয় কাঁদে!
পুলিশের হাতে যে রিপোর্ট আসে আর
মেয়েহারা বাবা-মা’র অলংকার বেচে
যে পরিণতি,
তা একটা সম্পর্ক পুঁতে ফেলার জন্যই যথেষ্ট...
৫.
তাহলে আত্মহত্যা? না খুন? সমঝোতা?
খুঁজে পাওয়া গেল না, শিশুটির কথা ভেবেই; তবু
গোয়েন্দা অমিয় ভাবে,
জানা হোক এটা;
তদন্তের ফাইল যেখানে শব-কথা
অনেক চেষ্টাতেও সামনে এল না, আসল সত্যিটা
এবার অমিয় তাকে আত্মসমীক্ষার দিকে ছাড়ে
৬.
সঞ্জয় ছায়ার লাশে ভয় পেয়ে ওঠে
জ্যোত্স্না পড়েছে গায়ে সেই আলো ক্ষত
নিয়ে শুয়ে আছে, শেষ ঘাতকের ঈর্ষা
তাকেই ঠেলেছে আরও গভীর খাদের
কিনারে; হ্যাঁ মৃত্যু-প্রণয়ের স্মৃতি তাকে
নিয়ে গেছে বন্ধ-শ্বাসের ঘরের দিকে...
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন